রোজার সময় দীর্ঘ সময় না খেয়ে থাকায় বা নিয়মিত দাঁত পরিস্কার না করার কারণে রমজানে অনেকেরই মুখে দুর্গন্ধ হয়। আর তাতে দাঁতেরও নানা রকমের সমস্যাও দেখা দেয়। জেনে নিন রমজান মাসে মুখের দুর্গন্ধ এড়ানোর এবং দাঁত ঠিক রাখার কিছু উপায় অর্থাৎ রোজায় দাঁত ও মুখের যত্ন
দু’ বার দাঁত ব্রাশ করুন
রমজান মাসে সেহেরির পর থেকে রোজদাররা ইফতার পর্যন্ত অর্থাৎ ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কিছু খান না। ফলে দাঁতের ফাঁকে জমে থাকা খাদ্যকণা পচে যাতে দুর্গন্ধ সৃষ্টি না করে সেজন্য সেহেরির পরে দাঁত ব্রাশ করেই ঘুমানো উচিত। আবার ইফতারের পরও একবার দাঁত ব্রাশ করে নেওয়া ভালো।
পেটের সমস্যা থাকলে
রোজার সময় অ্যাসিডিটি বা গ্যাসট্রিকের সমস্যা থাকলেও অনেক সময় মুখে দুর্গন্ধ হতে পারে। এমন হলে পরিপাকতন্ত্র বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে। পেটের সমস্যা ছাড়া, নাক, কান বা গলায় প্রদাহের কারণেও দুর্গন্ধ হতে পারে, সেক্ষেত্রে নাক-কান-গলা অর্থাৎ ইএনটি বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
পেঁয়াজ-রসুন কমই ভালো
ইফতারে ভাজাপোড়া খেলে সঙ্গে পিঁয়াজ, রসুনও বেশি খাওয়া হয়৷ ভাজাপোড়া বা পেঁয়াজ-রসুন কম খেয়ে টাটকা ফল বা সালাদ বেশি খেলে ভালো হবে। বিশেষ করে পিঁয়াজ-রসুনের কারণে মুখে যে বাড়তি দুর্গন্ধ হয় তা থেকে বাঁচতে পারবেন। পিঁয়াজ-রসুন খেলে সঙ্গে সঙ্গে দাঁত ব্রাশ করে নিন।
মিষ্টি খেলে যা করতে হবে
ইফতার এবং সেহেরির সময় জিলাপি, রসগোল্লা বা রসমালাইয়ের মতো কোনো মিষ্টি বা মিষ্টি জাতীয় খাবার খান? মিষ্টি খাওয়ার পরে কিন্তু দাঁত ব্রাশ করতেই হবে, কেননা মিষ্টিতে যে শর্করা জাতীয় উপাদান থাকে তা দাঁতের এনামেলের ক্ষতি করে।
জিহ্বায় প্রদাহ হলে
অনেক সময় কারো কারো জিহ্বার উপরে খাদ্যের প্রলেপ জমে যায়। একসময় সেখানে জীবাণু হয়। এর ফলে প্রদাহ থেকে ভলাটাইল সালফার কম্পাউন্ড তৈরি হয় এবং মুখে দুর্গন্ধ হয়। এই সমস্যা থেকে দূরে থাকতে প্রতিদিন দু’বেলা দাঁত ব্রাশ করার আগে টাং স্ক্র্যাপার বা জিবছোলা দিয়ে জিব পরিষ্কার করুন।