এখন রূপচর্চার প্রয়োজনীয় বিভিন্ন উপাদান পাবেন আপনার রান্নাঘরেই। অবাক হলেন নিশ্চয়! একটু খেয়াল করে দেখুন আপনার রান্নাঘরে বিভিন্ন উপাদান রয়েছে যেগুলো রান্নার কাজে তো লাগেই, সেইসঙ্গে যত্ন নিতে পারে আপনার ত্বকেরও। হতে পারে তা পেঁয়াজ কিংবা ডিম! হ্যাঁ, এরকমই কিছু উপাদান ও তার ব্যবহার সম্পর্কে জানবো আজ। আপনার রান্নাঘরেই রয়েছে রূপচর্চার উপাদান
রূপচর্চায় ময়দার ব্যবহারে আপনি হতে পারেন রূপবতী। সাবানের পরিবর্তে ময়দা পানিতে গুলিয়ে হাতে, পায়ে ও মুখে মেখে গোসল করতে পারেন। আবার ময়দা + কাঁচা হলুদ বাটা + দুধের সর মিশিয়ে হাতে, পায়ে, মুখে আস্তে আস্তে মেখে প্রথমে হালকা কুসুম গরম পানিতে, পরে ঠান্ডা পানিতে ধুয়ে নিলে দেখবেন গায়ের রং কিছু দিনের মধ্যে উজ্জ্বল হয়ে উঠছে।
সৌন্দর্য চর্চায় ডিম এক অতুলনীয় ভূমিকা পালন করে। ডিম দিয়ে মাথা ধোয়া, ডিমের তৈরি প্যাক বিভিন্নভাবে ত্বকের জন্যে ব্যবহার হয়ে থাকে। ডিমের প্যাকে মুখের লাবণ্য ফিরে আসে। ডিমের কুসুমের প্যাক শুষ্ক ত্বকের পক্ষে খুবই ভালো। ডিমের কুসুম ও তার সাথে অ্যালমন্ড অয়েল অথবা অলিভ অয়েল আধা চা চামচ মিশিয়ে মুখে মেখে ১৫ মিনিট রেখে প্রথমে হালকা কুসুম গরম পানি, পরে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলবেন। সাধারণত সপ্তাহে ২/৩ দিনের বেশি লাগানোর দরকার নেই। এতে আপনার ত্বক সতেজ হয়ে উঠবে।
শসা যেমন রান্না-বান্নায়, খাওয়া-দাওয়ায় ব্যবহৃত হয় তেমনি ব্যবহৃত হয় রূপচর্চায়। মুখে কোনো কালো দাগ পড়লে কচি শসার রস মুখে লাগিয়ে ১৫ মিনিট রেখে ঠান্ডা পানিতে ধুয়ে নেবেন। এভাবে কিছুদিন নিয়মিত লাগালে দাগ উঠে যায়। শসার রসের সাথে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস মুখে মেখে শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা পানিতে ধুয়ে নিলে মুখের রং উজ্জ্বল ও কোমল হয়। অনেক সময় দেখা যায় চোখের নিচে অনেকেরই কালো দাগ পড়ে। শসার রস নিয়মিত মাখলে এ দাগ দূর হবে।
রূপচর্চায় আলুর অবদান কিন্ত একেবারে কম নয়। অনেকে গায়ের রং ফর্সা করার জন্যে নানান জিনিস ব্যবহার করে থাকেন। তারা হয়তো অনেকেই জানেন না আলু ব্যবহার করেও শরীরের রং উজ্জ্বল করা যায়। গোল আলু খোসাসহ গোল গোল করে কেটে নিয়ে কিছুক্ষণ ঠান্ডা পানিতে ভিজিয়ে রেখে তারপর পানি থেকে তুলে হাতে পায়ে মুখে গলায় ঘষে ঘষে মেখে নিয়ে কিছুক্ষণ পর ধুয়ে ফেলুন। এভাবে নিয়মিত করলে দেখবেন গায়ের রং উজ্জ্বল হয়ে উঠেছে।
রূপচর্চায় পেঁয়াজের ভূমিকা রয়েছে। কাঁচা পেঁয়াজে ভিটামিন-বি ও ভিটামিন-সি রয়েছে। কাঁচা পেঁয়াজের রস ও আদার রস সমপরিমাণে নিয়ে সামান্য গরম করে ১ বা ২ চা চামচ খেলে নতুন সর্দির উপশম হয়। যদি কারো নাক থেকে অনবরত পাতলা পানির মতো শ্লেষ্মা পড়ে তাহলে কাঁচা পেঁয়াজ ও আদা সামান্য তেলে ভেজে নিয়ে খেলে শ্লেষ্মা ঘন হয়। মাথার খুশকিতে কাঁচা পেঁয়াজের রস ওষধি হিসেবে কাজ করে। তাছাড়া কাঁচা পেঁয়াজের সাথে সামান্য কয়েকটি সর্ষে বেটে মাথায় বিলি কেটে দিলে নতুন চুল গজায়।