মুহাম্মদ (সা.) মিরাজের রাতে স্বচক্ষে জান্নাত দর্শন করেছেন। তিনি তার উম্মতের জন্য আল্লাহতালার কাছে দুয়া করেছেন যাতে ,আমরা জান্নাতে যেতে পারি।
জান্নাতি ব্যক্তির গঠন-আকৃতি ঃ
সকলের দেহকাঠামো হবে একই রকম। হিসাব-নিকাশের পর মানুষ জান্নাতে প্রবেশ করবে পর্যায়ক্রমে।সর্বপ্রথম যে দল জান্নাতে প্রবেশ করবে তাদের মুখমণ্ডল হবে পূর্ণিমার রাতের চাঁদের মতো উজ্জ্বল। তারপর যে দল তাদের অনুগামী হবে তাদের মুখমণ্ডল হবে আকাশের সর্বাধিক দীপ্তমান উজ্জ্বল তারকার মতো। তারা না করবে পেশাব আর না করবে পায়খানা।তাদের থুতু ফেলার প্রয়োজন হবে না এবং তাদের নাক থেকে শ্লেষ্মাও বের হবে না। তাদের চিরুনি হবে স্বর্ণের তৈরি। তাদের ঘাম হবে মিশকের ন্যায় সুগন্ধপূর্ণ। তাদের ধনুচি হবে সুগন্ধযুক্ত চন্দন কাঠের। বড় চক্ষুবিশিষ্ট হুর হবেন তাদের স্ত্রী। তাদের সবার দেহের গঠন হবে একই। তারা সবাই তাদের আদি পিতা আদম (আ.)-এর আকৃতিতে হবে। উচ্চতায় তাদের দেহের দৈর্ঘ্য হবে ৬০ হাত বিশিষ্ট। (বুখারি, হাদিস : ৩০৯২)
জান্নাতের রূপ-বৈশিষ্ট্য ঃ
জান্নাতের বাড়ির নির্মাণশৈলী সম্পূর্ণ আলাদা যা কোন মানব তা কল্পনা করতে পারবে না। সাহাবী আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, আমি জিজ্ঞাসা করলাম হে আল্লাহর রাসুল! জান্নাতের নির্মাণ কী দিয়ে? তিনি বলেন, এর একটি ইট হলো রুপার, আরেকটি হলো সোনার। এর গাঁথুনি হলো সুগন্ধময় মিশকের। এর নুড়িগুলো হলো মাটির ও ইয়াকুতের। মাটি হলো জাফরানের। যে ব্যক্তি এতে প্রবেশ করবে সে নিয়ামত ও সুখ ভোগ করবে। কষ্ট পাবে না কখনো। সর্বদা থাকবে—মৃত্যু হবে না কখনো। তাদের পরিচ্ছদ কখনো পুরনো হবে না।আর তাদের যৌবন কখনো শেষ হবে না।
(তিরমিজি, হাদিস : ২৫২৬)
জান্নাতের আপ্যায়ন ঃ
জান্নাতিদের প্রথম আপ্যায়ন কী হবে? তিনি বলেন,রাসুল (সা.) বলেন, মাছের কলিজার টুকরা,তাদের জন্য জান্নাতের ষাঁড় জবাই করা হবে, যা জান্নাতের আশপাশে চরে বেড়াত, সেখানকার একটি ঝরনার পানি, যার নাম সালসাবিল। (মুসলিম, হাদিস : ৬০৯)