সুস্বাস্থ্য বলতে মূলত বোঝায় মানসিক আর শারীরিক দুই দিক থেকেই সুস্থ বা ঠিক থাকা। শরীর ঠিক থাকলেও মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়টিকে একেবারেই গুরুত্ব দেন না অনেকে। আমাদের দৈনন্দিন জীবনযাপন ঠিকমতো চালিয়ে নিতে মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর গুরুত্ব দেওয়া বেশ গুরুত্বপূর্ণ। দৈনন্দিন জীবনযাপনে সামান্য কিছু পরিবর্তন এনে মানসিক সমস্যা দূরে ঠেলে মনকে ফুরফুরে করে তুলতে পারেন খুব সহজেই।
পুষ্টিকর খাবার খান
পুষ্টিমানসম্পন্ন ও সুষম খাবার খান। খাবারের তালিকায় বেশি করে ফল আর সবজি রাখুন। মস্তিষ্ককে উদ্দীপিত রাখে এমন খাবার, বিশেষ করে বাদাম কিংবা পালংশাকের মতো খাবার খান।
নিয়মমাফিক চলুন
দৈনন্দিন কাজের একটি নিয়ম দাঁড় করান। সময়ের কাজ সময়ে করুন। নিয়ম মেনে খাওয়া, ঘুম থেকে জাগা বা বিছানায় যাওয়ার বিষয়টি মানসিক স্বাস্থ্য ঠিক রাখার জন্য দরকারি। যাঁরা নিয়ম মেনে চলেন, তাঁদের মানসিক ও শারীরিক দিক থেকে সুস্থ থাকার হার বেশি বলেই দেখা যায় গবেষণায় ।
ব্যায়াম করুন
মানসিকভাবে ভালো থাকতে শারীরিকভাবে সুস্থ থাকাটা বেশ জরুরি। শরীরকে সক্রিয় রাখতে সামর্থ্য অনুযায়ী ব্যায়াম করুন। ব্যায়াম করলে নিঃসৃত হয় সুখ হরমোন। মানসিকভাবে হালকা বোধ করতে বা মন ভালো রাখতে নিয়মিত ব্যায়ামের চর্চা করে যান।
সক্রিয় থাকুন
সংবাদপত্র পড়া,পাজল মেলানো, ক্রসওয়ার্ড সমাধান করার মতো নানা কাজে মস্তিষ্ককে ব্যস্ত রাখুন। মস্তিষ্ক সক্রিয় থাকলে স্মৃতিশক্তি উন্নত হবে।এছাড়া শেখার দক্ষতাও বাড়বে।
যন্ত্রের ব্যবহার সীমিত করুন
এখনকার সময় মানুষের হাতে হাতে মোবাইল ফোন কিংবা মনোযোগ কেড়ে নেওয়া নানা যন্ত্র রয়েছে। মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে যতটা সম্ভব সীমিত করুন যন্ত্রের ব্যবহার । রাতে ঘুমাতে যাওয়ার এক ঘণ্টা আগে মোবাইল ফোনসহ যাবতীয় যন্ত্র ব্যবহার বাদ দিন। এমনকি দিনের বেলাতেও যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলুন এসব যন্ত্র।