মালাইকারি সে তো আমাদের সকলেরই পছন্দের খাবার। আমরা সচারাচার চিংড়ি মাছের মালাইকারি খেয়ে থাকলেও স্বাদে বা পুষ্টগুণে কোন অংশেই কম নয় মজাদার চিকেন মালাইকারী। আজ তাই আপনাদের জানাব এই মজাদার চিকেন মালাইকারী রান্নার রেসিপিটি-
প্রয়োজনীয় উপকরন
– চিকেনঃ ১ কেজির মত (টুকরা ছোট বা আপনার ইচ্ছা মত করে নিতে পারেন তবে তাজা চিকেন হলে স্বাদ বেশী ভাল হবে)
– পেঁয়াজ কুঁচিঃ ১ কাপ
– আদা বাটাঃ ১ টেবিল চামচ
– রসুন বাটাঃ ১ টেবিল চামচ
– জিরা বাটাঃ ১ চা চামচ
– হলুদ গুড়াঃ হাফ চা চামচ বা তারও কম
– কাঁচা মরিচ বাটাঃ ১ চা চামচ (বুঝে শুনে, ঝাল বেশী হলে আবার শিশুরা খেতে পারবে না! ঝাল পরিমিত হওয়া জরুরী)
– এলাচিঃ ৪/৫ টি
– দারুচিনিঃ ১ ইঞ্চির ৩/৪ টুকরা
– লেবুর রসঃ হাফ চা চামচ
– কাঁচা মরিচঃ ৪/৫ টা (আস্ত, শেষে দেবার জন্য)
– লবনঃ পরিমান মত
– তেলঃ সয়াবিন তেল হাফ কাপের চেয়ে কম
– নারিকেল দুধঃ দুই কাপ বা বেশী (নারিকেল কুরিয়ে, বেঁটে, সামান্য পানি মিশিয়ে ছেঁকে নিতে হবে)
প্রস্তুতপ্রণালী
কড়াইতে তেল গরম করে তাতে সামান্য লবন যোগে পেঁয়াজ কুচি ভাঁজতে হবে, এই সময় এলাচি এবং দারুচিনি দিয়ে দিতে হবে। হালকা হলদে ভাব আসলে তাতে একে একে জিরা বাটা, আদা বাটা, রসুন বাটা, হলুদ গুড়া, কাঁচা মরিচ বাটা দিয়ে ভাল করে কষিয়ে নিতে হবে।
তেল উঠে এই পর্যায়ে এসে যাবে।
এবার চিকেন দিয়ে দিতে হবে।
লেবু রসে স্বাদ বেড়ে যাবে কয়েক গুন।
ভাল করে মিশিয়ে নিন।
মাধ্যম আঁচে ঢাকনা দিয়ে মিনিট ৩০ রেখে দিন। মাংস থেকে পানি বের হয়ে মাংস সিদ্ব হয়ে যাবে। মাঝে মাঝে নাড়িয়ে দিতে ভুলবেন না!
এবার নারিকেল দুধ দিন।
আর ঢাকনা দেয়ার দরকার নেই! মাঝারি আঁচে পড়ে থাকুক আরো মিনিট বিশেক। ঝোল কমে যাক!
গা গা ঝোলে এসে যাবে। চিকেনের পরতে পরতে মশলা প্রবেশ করবে।
ফাইন্যাল লবন চেক করে দেখুন। লাগলে দিন, না লাগলে ওকে বলুন। চুলা থেকে নামাবার আগে কয়েকটা কাঁচা মরিচ (গোটা) দিন, দেখতে ভাল দেখাবে।
ব্যস, পরিবেশনের জন্য প্রস্তুত।