কানাডায় এসে একবার ঢুকেছেন তাদের অধিকাংশই রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা করেছেন। কানাডায় যদি কেউ জীবনের হুমকির কথা বলে কেউ রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা করেন তবে কানাডা তাদের রাজনৈতিক আশ্রয় দেয়। রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থীরা কানাডায় প্রটেকটিভ পারসন হিসেবে মর্যাদা পায় এবং কোনো কাজ খুঁজে না পাওয়া পর্যন্ত কম বেশি ৭০০ ডলার করে প্রতি মাসে সরকারের কাছ থেকে ভাতা পায়। তারা কাজ খুঁজে পেলে সেই ভাতা আর থাকে না নিজের আয়ের টাকা দিয়ে চলতে হয়।কানাডায় বর্তমানে মোট জনসংখ্যার ৬ দশমিক ১ ভাগ লোক বেকার কিন্তু তারপরও সরকার এই সুযোগটি দিয়েছিল। অনেকেই মনে করেন কোভিড এবং ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে অর্থনৈতিক ক্ষতি মোকাবিলা করার জন্য কানাডা বিদেশিদের ভ্রমণে এনে তাঁদের অর্থনীতিকে চাঙা করার চেষ্টা করেছে। নিজস্ব অর্থনীতিকে চাঙা করার সিদ্ধান্তে অনেকেই না বুঝে কানাডায় এসে এখন বিপদে পড়েছেন। সেই সঙ্গে লাখো লোক পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে আসার ফলে কানাডার আবাসন শিল্প একটি বড় ধরনের সংকট দেখা দিয়েছে। কানাডায় এত মানুষের থাকার জায়গা পর্যন্ত নেই।অন্যদিকে কানাডায় আসার পর যখন তাঁরা যখন রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা করছেন তখন আইনজীবীদের কমপক্ষে ৭ থেকে ১০ হাজার কানাডিয়ান ডলার দিতে হচ্ছে। কাজ না পাওয়া থাকা খাওয়ার অত্যাধিক ব্যয় আইনজীবীদের খরচের ফলে এ ধরনের লোকজন মানবেতর জীবনযাপন করছেন। ফুড ব্যাংক থেকে কোনো রকম খাদ্য সহযোগিতা নিয়ে বেঁচে আছেন তাঁরা।