নববর্ষ। বাংলা বছরের শুরুর দিন। পুরাতনকে বিদায় জানিয়ে নতুনকে আগমনী ডালা নিয়ে বরণ করার দিন, আর এই দিনে বাঙালি নিজেকে সাজায় অপরূপ সাজে। সাজের অন্যতম দিকটি হচ্ছে চুল। আর তাই বৈশাখের আগেই সেরে নিন চুলের কিছু ছোটখাট যত্ন। আসুন জেনে নিই বৈশাখের আগে চুলের যত্ন নিয়ে কিছু কথা-
> প্রতিদিন রাতে নিয়ম করে চুলে তেল ম্যাসাজ করুন। তবে সকালে অবশ্যই শ্যাম্পু করে ফেলতে হবে। এছাড়া চুলের ধরন বুঝে ব্যবহার করতে পারেন বিভিন্ন ধরনের প্যাক। মেহেদি প্যাকের সাথে চার লিকার মিশিয়ে চুলে দিতে পারেন। এতে করে আপনার চুল হবে শাইনি ও ঝরঝরে।
> এই সময় চুল তার আর্দ্রতা হারায়। আর তাই ব্যবহার করতে পারেন অ্যালোভেরা। চুলে লাগাতে পারেন ডিমের সাদা অংশও, এতে করে আপসার চুল ফিরে পাবে আর্দ্রতা। এছাড়াও চুলে করিয়ে নিতে পারেন ছোটখাট কিছু হেয়ার ট্রিটমেন্ট।
> পহেলা বৈশাখের দিন করতে পারেন আপনার পছন্দের হেয়ার স্টাইল। গরম এড়াতে চাইলে বেঁধেও নিতে পারেন চুল। চুলে করতে পারেন বেঁণি, গুজে দিতে পারেন পছন্দমতো ফুল। কিংবা চাইলে ছেড়েও দিতে পারেন।
> যাদের চুল কম তারা তেলের সাথে ক্যাস্টার ওয়েল মাখিয়ে ব্যবহার করতে পারেন। এতে চুল মজবুত হয়।
এছাড়া রয়েছে কিছু হেয়ার প্যাক যা চুলকে করবে সিল্ক আর সুন্দর।
> ডিম এবং দুধের প্যাক এই ক্ষেত্রে বেশ উপকারি। একটি ডিম, এক কাপ দুধ, একটি লেবুর রস এবং দুই টেবিল চামচ অলিভ অয়েল। প্রথমে ডিম থেকে সাদা অংশ এবং কুসুম আলাদা করে ফেলুন। তৈলাক্ত চুলের ডিমের সাদা অংশ এবং নরমাল চুলের জন্য সম্পূর্ণ ডিম ব্যবহার করুন। ডিম ভালো করে ফেটে নিন। এরসাথে দুধ, অলিভ অয়েল এবং লেবুর রস মিশিয়ে নিন। এবার এটি চুলে ম্যাসাজ করে লাগান। ১৫-২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। তারপর শ্যাম্পু করে ফেলুন।
> চুলে লাগাতে পারেন পাকা কলার প্যাক। এক থেকে দুটি পাকা কলা, এক চামচ নারকেল তেল, এক চা চামচ অলিভ অয়েল এবং এক টেবিল চামচ মধু ভাল করে মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন। এটি চুলে ম্যাসাজ করে লাগিয়ে নিন। ১০-১৫ মিনিট পর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। চাইলে শ্যাম্পুও করতে পারেন।
> আধা কাপ টকদই, এক চা চামচ অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার এবং এক চা চামচ মধু মিশিয়ে নিন। ১৫ মিনিট পর কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।