বৈশাখী সাজের গুরুত্বপূর্ণ অনুসঙ্গ কাচের রেশমি চুড়ি। রিনিঝিনি শব্দে এক আলাদা আবহ তৈরি করে এই কাচের চুড়ি। তাই বৈশাখে হাতভর্তি রেশমি চুড়ি আর পোশাকের সঙ্গে মিলিয়ে কানের দুল না হলে যেন নারীর সাজ পূর্ণ হয় না।
উৎসবে হোক কিংবা আনন্দে, যেকোন সাজের সাথে খুব সহজে মানিয়ে যায় চুড়ি। বাঙালিয়ানায় চুড়ি যেন এক সাজের ভিন্ন মাধ্যম। গ্রামে হোক কিংবা শহরে, চুড়ির সাজে নিজেকে সাজাতে পছন্দ করেন সবাই। এই চুড়ি হতে পারে মাটির, কাঁসার, প্লাস্টিকের।
চুড়ির ক্ষেত্রে নারীর মনে সবার আগে জায়গা করে নেয় কাঁচের চুড়ি। যা রেশমি চুড়ি নামে পরিচিত। উৎসবের মাত্রাকে কয়েকগুন বাড়িয়ে দেয় এই রেশমি চুড়ি। আর এই চুড়ি পড়ার একটি সুন্দর সময় আর উৎসব হচ্ছে পহেলা বৈশাখ।
রেশমি চুড়ির পাশাপাশি অন্যান্য দেশীয় সাধারণ মানের কাচের, কাপড়ের ও অন্যান্য চুড়িও জায়গা করে নিয়েছে এখানে, যাতে ব্যবহার হয় বিভিন্ন রঙের চুমকি, গ্লিটার। সালোয়ার-কামিজ ও শাড়ির সাথে পরতে পারেন হাতে চুড়ি।
কোথায় পাবেন
টিএসসির মোড়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরি ভবনের পাশে, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান এবং ছবির হাট ও চারুকলার সামনে কাঠ, মাটির গয়না আর কাচের চুড়ির সম্ভারও কম নয়। এছাড়া দোয়েল চত্বর, আজিজ সুপার মার্কেট, আড়ং, কলাবাগানসহ ইডেন কলেজ, গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজের পাশে গড়ে উঠেছে চুড়ি, দুল, গলার মালার এক বড় বাজার। ধানমন্ডি ২৭ নম্বরের জেনেটিক প্লাজার সামনে তো বৈশাখী চুড়ির মেলাই বসে গেছে।
কেমন দাম
সাধারণ রেশমি চুড়ি ২৫ থেকে ৩০ টাকার মধ্যে পাবেন। আর বহুরঙা চুড়ির দাম ৪০ থেকে ৫০ টাকার মতো পড়বে। আবার কিছু কিছু চুড়ি ২০০ থেকে ৪০০ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।