থাই, ইন্ডিয়ান, চায়নিজ রেষ্টুরেন্ট গুলোতে এমন আইটেম পাওয়া যাবেই। হোটেলের চেয়ে আরো ঢের বেশি স্বাদের রান্না করা যায় বাড়িতেই। তাছাড়া হোটেল বা রেস্টরেন্টে প্রায় রান্নাতে যে টেস্টিং সল্ট বা নানা প্রকারের ভিনেগার বা সস ব্যবহার করে তা শরীরের জন্য ক্ষতিকর। এই সব দিলে রান্নায় স্বাদ বাড়ে কিন্তু ক্ষতিটা খাবার যে খায় তারই হয়ে যায়। আসুন তবে জেনে নিই বাড়িতে বিফ মাসালা তৈরির উপায়ঃ
প্রয়োজনীয় উপকরণ :
গরুর মাংস এক কেজি, আদা বাটা দুই টেবিল চামচ, রসুন বাটা এক টেবিল চামচ, পেঁয়াজ বাটা আধা কাপ, বেরেস্তা বাটা দুই টেবিল চামচ, টমেটো পেস্ট এক কাপ, হলুদ গুঁড়া আধা চা চামচ, মরিচ গুঁড়া দুই চা চামচ, (রুচি অনুযায়ী), ধনে গুঁড়া দুই চা চামচ, জিরা গুঁড়া দুই চা চামচ, পোস্তাদানা বাটা এক টেবিল চামচ, গরম মশলা গুঁড়া এক চা চামচ, লবণ স্বাদমতো (দেড় চা চামচ) চিনি এক চা চামচ, তেল আধা কাপ, দুধ আধা কাপ, পেঁয়াজ কুচি চার ভাগের এক কাপ, ক্রিম চার ভাগের এক কাপ, আস্ত এলাচ তিনটি, দারুচিনি দুই ইঞ্চি, তেজপাতা দুই-তিনটি। গরম পানি তিন কাপ।
প্রস্তুতপ্রণালী :
মাংস ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিন। গরম মশলার গুঁড়া ছাড়া সব গুঁড়া মশলা পানি দিয়ে পেস্ট তৈরি করে রাখুন। কড়াইতে তেল দিয়ে গরম হলে আস্ত এলাচ, দারুচিনি ও তেজপাতা দিন। এবার পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ভাজুন। পেঁয়াজ নরম হলে পোস্তা বাটা ছাড়া সব বাটা মশলা দিয়ে কষাণ। লবণ দিয়ে ভালোভাবে কষিয়ে মাংস ঢেলে দিন। মাংস ভালো করে নেড়ে ঢেকে দিন। মাংসের পানি টেনে কষা কষা হলে দুই কাপ গরম পানি দিয়ে আবার ঢেকে দিন। মাংস সিদ্ধ হয়ে ভুনা ভুনা হলে দুধে পোস্ত বাটা, বেরেস্তা বাটা ও গরম মশলা গুঁড়া মিশিয়ে মাংসে ঢেলে ভালো করে নাড়–ন। এবার ক্রিম ও চিনি ঢেলে দিয়ে নেড়ে ১৫-২০ মিনিট খুব কম আঁচে দমে রাখুন। ক্রিম ও পেস্তা কিশমিশ দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করুন পোলাও রুটি বা পরোটার সঙ্গে।