Home লাইফস্টাইল বর্ষায় সুরক্ষা পেতে ‘প্রাকৃতিক অ্যান্টিবায়োটিক’

বর্ষায় সুরক্ষা পেতে ‘প্রাকৃতিক অ্যান্টিবায়োটিক’

বর্ষা অনেকেরই প্রিয় ঋতু হলেও কারও কারও জন্য অস্বস্তিরও। কারণ এ সময়ে সর্দি-কাশি, জ্বর, পেটের সমস্যা, ভাইরাল ইনফেকশন ইত্যাদি বেড়ে যায়। অনেকে বর্ষা এলেই এসব রোগে ভোগেন। চিকিৎসকদের মতে, চারটি প্রাকৃতিক অ্যান্টিবায়োটিক ঘরে থাকলে আপনি বর্ষা ঋতুকে সুস্থ-স্বাভাবিকভাবে উপভোগ করতে পারেন। প্রতিদিন খাবারে এ চার উপাদান থাকলে আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে। আসুন জেনে নিই বর্ষায় সুরক্ষা পেতে ‘প্রাকৃতিক অ্যান্টিবায়োটিক’ সম্পর্কে-

মধু

মধু এমন একটা উপাদান যা অনেক রোগ থেকে সুরক্ষা দিতে পারে। কারণ মধুতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ অ্যামাইনো অ্যাসিড, বি-ভিটামিন, মিনারেল, এনজাইম ও অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট। এছাড়া একদম কাঁচা-টাটকা মধুতে থাকা বি পোলেন ও প্রোপোলিস- এই দুই উপাদান রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে এবং ক্ষত সারাতে অ্যান্টিবায়োটিক কাজ করে। বর্ষাকালে ডায়াবেটিক রোগীরা মধু দিয়ে ফুট আলসার ড্রেসিং করতে পারেন।

রসুন

কেবল রসুন তেলেই সেরে যেতে পারে সর্দি-কাশি। রসুনে রয়েছে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টিভাইরাল ও অ্যান্টিফাংগাল গুণ। এছাড়া এটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টও। চিকিৎসকদের মতে, রসুন থেকে সর্বোচ্চ ঔষধী ফল পেতে ব্যবহারের ১০-১৫ মিনিট আগে কোয়াগুলো ছাড়িয়ে নিন। কারণ উন্মুক্ত পরিবেশে থাকা অক্সিজেন রসুনে অ্যালিসিন উৎপাদনে সাহায্য করে। এছাড়া মসলা হিসেবে ব্যবহারের ক্ষেত্রে রান্নার শেষ ৫ মিনিটে সময় রসুন দেওয়া উচিত।

নারকেল তেল

নারকেল তেলের নানান ভেষজ গুণ রয়েছে। এ তেলে রয়েছে লরিক অ্যাসিড, ক্যাপরিক অ্যাসিড, ক্যাপরাইলিক অ্যাসিডের মতো স্বাস্থ্যকর ফ্যাট। এছাড়া ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া, ফাংগাসের বিরুদ্ধে কাজ করতে এর রয়েছে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল গুণ। তাই বর্ষায় ত্বকের ইনফেকশন ও একজিমার মতো সমস্যায় এ তেল প্রাকৃতিক অ্যান্টিবায়োটিক হিসেবে কাজ করে।

অরিগ্যানো অয়েল

বাংলাদেশে অরিগ্যানো অয়েল অতোটা পরিচিত নয়। এ তেল বাড়িতে স্যানিটাইজার হিসেবে খুবই উপকারি। বিদেশে বিভিন্ন স্কুল ও ডে কেয়ার সেন্টারে অরিগ্যানো অয়েল ব্যবহার করা হয়। ৬ সপ্তাহ ধরে নিয়মিত ৬০০ মিলিগ্রাম অরিগ্যানো অয়েল খেলে তা খাদ্যনালীর পরজীবী ব্যাকটেরিয়া ধ্বংসে অংশ নেবে। এছাড়া হালকা সর্দি-কাশির জন্য ১ হাজার ৫০০ মিলিগ্রামের অরিগ্যানো অয়েল ক্যাপসুল খাওয়া যেতে পারে। বেশি ঠান্ডা লাগলে ৩ হাজার ৫০০ মিলিগ্রামের ক্যাপসুল খাওয়া যায়। এছাড়া এ তেল ফাংগাল ইনফেকশন বা সাইনাসের কনজেসশন কমাতেও কাজ করে।