বৃষ্টিবাদল নিয়ে কবিরা যতই রোমান্টিক হোন না কেন, ভেজা মৌসুম হচ্ছে রোগবালাইয়ের ডিপো। ব্যক্তিগত ভাবে অনেকেই তিতা খাবার পছন্দ করেন না। তিতা খাবার শুনলেই আঁতকে ওঠেন। নিমপাতা, চিরতা, করলা-নামগুলো শুনেই নাক-মুখ কুঁচকে যায়। কিন্তু এই তিতা খাবারেই আছে অনেক উপকার। আর তাই সুস্থ থাকতে চাই তিতা খাবার। কেননা বর্ষায় উপকারী তিতা
বর্ষা মৌসুমে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়, পাশাপাশি হজমশক্তিও কমে। এছাড়া বিভিন্ন ধরনের চর্মরোগ হওয়ার সম্ভাবনাও থাকে। আয়ুর্বেদীয় চিকিৎসা-পদ্ধতিতে বলা হয় বৃষ্টির বিষাক্ততা কাটাতে কার্যকর হচ্ছে তিতাজাতীয় খাবার। যা রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি খাবার হজমে সহায়তা করে। আর তাই বর্ষাকালে যতই খিচুড়ি আর মাংসভুনা খেয়ে ঘুম দিতে ইচ্ছা করুক, পাশাপাশি নিচের খাবারগুলোও রাখার চেষ্টা করুন আপনার নিত্যদিনের খাদ্য তালিকায়।
সবজি:
চিচিঙ্গা, চালকুমড়া, করলা, কাঁকরোল ইত্যাদি পত্রল সবজির তুলনায় এই ঋতুতে বেশি উপকারী। কারণ এগুলোতে ক্যালশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ ইত্যাদি খনিজ থাকে প্রচুর পরিমাণে। পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও জোরদার করে। তিতা সবজিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ‘এ’, ‘সি’ ও ‘কে’ থাকে। এছাড়া থাকে প্রচুর পরিমাণে ফাইবারও। এতে ফ্যাট এবং সোডিয়ামের পরিমাণ খুব কম থাকে। ত্বককে সুস্থ এবং সুন্দর রাখতে তিতার জুড়ি মেলা ভার। নার্ভাস সিস্টেমকে শক্তিশালী করতে, চোখ ভালো রাখতে বেশ কার্যকরী তিতা সবজি।
হলুদ:
এই মসলার রয়েছে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর সুনাম। পাশাপাশি প্রকৃতির অ্যান্টিসেপটিক ও অ্যান্টিবায়োটিক হিসেবেও খ্যাতি আছে। আবার প্রদাহরোধক উপাদান হিসেবে এটি সুপরিচিত।
নিম:
নিমপাতায় আছে ব্যাকটেরিয়ারোধী উপাদান, যা বর্ষাকালে প্রদাহ ও ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা সারাতে দারুণ কার্যকর।
মেথি:
বর্ষাকালে হজম প্রক্রিয়াকে ত্রুটিমুক্ত রাখতে খাদ্যাভ্যাসে যোগ করতে হবে জিরা ও মেথি। এসব মসলা হজম শক্তি ঠিক রাখে।