Home তথ্যপ্রযুক্তি ফ্রি ওয়াইফাই ব্যবহার করবেন? সাবধান

ফ্রি ওয়াইফাই ব্যবহার করবেন? সাবধান

ভ্রমণে সাথে রাখবেন যেসব গুরুত্বপূর্ণ গ্যাজেট

ডিজিটাল যুগ এখন, মোটামুটি অনেক জায়গাতেই ফ্রি ওয়াইফাই সুবিধা রয়েছে। শপিং মল, রেস্তোরাঁ থেকে বিমানবন্দর, ক্যাফে থেকে বড় রেলওয়ে স্টেশন, কলেজ-ভার্সিটি ইত্যাদি জায়গায় কিছু কিছু বিনামূল্যে ওয়াইফাই ছাড়া থাকে। কুটো পয়সা লাগে না, গ্যাঁটের কড়ি ফেলা স্মার্ট ফোনের ডেটাটিও বেঁচে যায় আনায়াসে। তাই ফ্রি ওয়াইফাইয়ে আম জনতা মুগ্ধ হবে এ আর নতুন কথা কী? সুযোগ পেলেই বিনামূল্যে পাওয়া ইন্টারনেটটুকু পকেটস্থ থুড়ি ফোনস্থ করতে ঝাঁপিয়ে পড়েন অনেকেই।

তবে সাবধান। টেক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অপরিচিত ফ্রি ওয়াইফাই নেটওয়ার্কে হ্যাকিং হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে প্রবল। অপরিচিত ফ্রি-ওয়াইফাই নেটওয়ার্ক মানেই কি ফাঁদ? নর্টনস সাইবার সিকিউরিটি ইনসাইট রিপোর্ট বলছে, অধিকাংশ বেনামী ফ্রি ওয়াইফাই হ্যাকারদের ফাঁদ। মানুষ এই ফাঁদে পড়ে ক্রেডিট কার্ড কারচুপির শিকার হচ্ছেন। বেশিরভাগই ওয়াইফাইয়ের মাধ্যমে হ্যাক হচ্ছে বলে দাবি রিপোর্টের।

বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ফ্রি ওয়াইফাই পরিষেবায় কখনওই কোনও কিছু ডাউনলোড করা উচিত নয়। পাশাপাশি ইমেইল ব্যবহার করা, অনলাইন ট্রানজাকশন, ব্যাঙ্কের অ্যাপস ব্যবহারের থেকেও সতর্ক থাকা উচিত।

টেক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বেশিরভাগ সময় দেখা যায় ক্রাইমারা তাদের ফ্রী ওয়াইফাইয়ের নাম দেয় বড় কোন হোটেলের বা রেস্তোরাঁর। যখন কোনও ব্যাক্তি সেই হোটেলের কাছাকাছি কোনও রেস্তোরাঁয় ওয়াইফাইয়ে সংযুক্ত হন, তখন হ্যাকারদের সামনে তাঁর সমস্ত তথ্য অসুরক্ষিত হয়ে যায়। কারন,  ফ্রি ওয়াইফাইয়ের সঙ্গে সংযুক্ত হওয়ার পর ওই ডিভাইসের তথ্য খুব সহজেই হ্যাক করতে পারে হ্যাকাররা।

কীভাবে বাঁচবেন এইসব হ্যাকারদের কাছ থেকে? অচেনা, পার্সওয়ার্ড ছাড়া ফ্রি ওয়াইফাই থেকে দূরে থাকুন। যে সব ওয়াইফাই নেটওয়ার্ক কানেক্টের সময় ল্যাপটপে ফাইল শেয়ারিং নিষ্ক্রিয় করে রাখুন। এমন কী স্মার্টফোনের নেটওয়ার্ক।