ফ্যাশনে এখন বিশেষভাবে সমাদৃত ওড়না। শুধু একটি ওড়না পোশাকে এনে দেবে নতুনত্ব এবং ভিন্নতা। একসময় শুধু রঙটা মিলিয়ে পরে নিলেই শেষ হয়ে যেত ওড়নার প্রয়োজনীয়তা। এখন আর ব্যাপারটা তেমন নেই, ওড়না দিয়েই নিজেকে করে তোলা যায় ফ্যাশনেবল। আর তাই ফ্যাশনে চাই বাহারি ওড়না।
পরিবর্তনের ধারায় ওড়নার ফ্যাশনেও এসেছে পরিবর্তন। একটা সময় ছিল যখন একই ওড়নাতে দুই ধরনের রঙ বেশি জনপ্রিয় ছিল। আবার কখনো তার নিচে লাগানো থাকতো পুঁতির ছোট মালা। পরিবর্তনের এই ধারা যতো ভাবেই আসুক, ওড়না তার তাৎপর্য্য রেখেছে আগের জায়গাতেই।
ওড়না মূলত পরা হয় সালোয়ার কামিজের সাথে। তাই কামিজের কথা মাথায় রেখে এখনকার ওড়নার ফ্যাশনে এসেছে পরিবর্তন। আগে ওড়না বলতে বোঝানো হতো একরঙা সুতি কাপড়ের কয়েক হাত প্রস্থ কাপড়। কিন্তু এখন কাপড়ের ক্ষেত্রে এসেছে অনেক পরিবর্তন। সিফন থেকে শুরু করে সিল্ক, জামদানী, মসলিন, সুপার বলাকা কাপড়ের ওড়নার সাজ চোখে পড়ার মতো।
অনেক সময় সালোয়ার কামিজের বিপরীতে তৈরি করা হচ্ছে ওড়না। টাইডাই, ভেজিটেবল ডাই, স্ক্রিনপ্রিন্টের কাজ করা ওড়নাগুলোর কিছু সুবিধা আছে। এখন টাইডাই করা ওড়না ফ্যাশনে বেশ জনপ্রিয়। দুই বা তিন রঙে টাইডাই করা হয়। জর্জেট ও সুতি দুটো কাপড়েই টাইডাই করা ওড়না হচ্ছে। টাইডাই বাটিকের পাশাপাশি সুতি, খাদি, চুণ্ডি, সিল্ক, মসলিন, নানা রকমের জর্জেট সেই সঙ্গে তাঁতের ওড়না এখন বাজার জুড়ে বিস্তার।
কামিজের সঙ্গে মিলিয়ে বা না মিলিয়েও পরা যায় ওড়না । নীল ও সবুজ ওড়না যেমন সাদা বা হলুদরঙা সালোয়ার-কামিজের সঙ্গে মানাবে। তেমনি এটি নীল রঙের কামিজের সঙ্গেও বেশ যায়। তবে যে পোশাকে ওড়নাই হবে প্রধান সেখানে কামিজের কাজ হতে হবে একেবারেই হালকা।
আর রঙের ক্ষেত্রে দেখা যায় এক রঙ্গা সালোয়ার কামিজের সাথে ঠিক তার বিপরীত রঙের ওড়না নেওয়া হচ্ছে। নানা ধরনের প্রিন্ট যেমন পাখি, পাথরের জল ছাপ, নদী ইত্যাদির উপরে কাজ করা ওড়নাও দেখা যায়।
এছাড়াও ওড়নায় রয়েছে বিভিন্ন ধরনের লেসের ব্যবহার। অনেকে চওড়া বা সরু লেস ডিজাইন করে ওড়নায় বসান। মসলিন ও জর্জেটের ওপর সাধারণত লেস লাগানো হয়। সাধারণত জমকালো পোশাকের সঙ্গে এই ওড়নাগুলো ব্যবহার করা হয়।নানা রকমের পাড় ব্যবহার করা হয় বিভিন্ন ওড়নায়। সুতি, কুরুশের কাজ, নেটের কাজ করা পাড়ও দেখা যায়। অ্যামব্রয়ডারি করা ওড়নাও পাওয়া যায়। জর্জেট ও সুতির ওড়নাতে অ্যামব্রয়ডারি বেশি দেখা যায়। কিছু কিছু ওড়নাতে আবার হাতের কাজের পাশাপাশি থেক পাথরের কাজ। অল্প অল্প পুঁতি দিয়েও আবার সাজানো হয় সখের ওড়না। কিছু ওড়নাতে আবার নিচের অংশে ঝোলানো থাকে কাপড়ের তৈরি ঝুলনা। এটি দেখতে যতটা নান্দনিক তেমনি ফ্যাশনেও এর অবস্থান সবার মনের কাছে। শুধু সালোয়ার কামিজের সাথেই না ফতুয়া, স্কার্টের সাথে খুব সহজেই মানিয়ে যায় এই সমস্ত ওড়না।
প্রাপ্তিস্থানঃ
চাঁদনী চক, শাহ আলী মার্কেট, মুক্তিযোদ্ধা মার্কেট, নিউ মার্কেট, মৌচাক, রাজউক কমপ্লেক্স সহ আপনার আশেপাশের শপিংমল গুলোতে।
দর দামঃ
খাদির ওড়না ১৫০-৪০০ টাকা, শার্টিন ৭০০ টাকা, মসলিন ৫০০-৭০০ টাকা, হ্যান্ড প্রিন্ট ৮০০ টাকা, বলাকা সিল্ক ৬৫০-৮৫০ টাকা, সফট সিল্ক শিফন ২৫০-৫০০ টাকা, হাতের কাজ ১০০০ টাকা, মসলিনের ৩৫০-৬৫০ টাকা।