Home লাইফস্টাইল পেট ও কোমর সরু করতে করণীয়

পেট ও কোমর সরু করতে করণীয়

ভুঁড়ি বা বর্ধিত পেটের সমস্যায় ভোগেন অনেকেই। অনেকে পেটের মেদ কমাতে সাহায্য নেন ডায়টেশিয়ানের, ভর্তি হন জিমে। কিন্তু তাতেও ফল মেলে না।  ডায়েট কন্ট্রোল বা ব্যায়ামের পরেও কেন কমতে চায় না পেটের আয়তন? এ প্রশ্নের উত্তরে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আসলে বর্ধিত পেটের একমাত্র কারণ চর্বি বা মেদ নয়। নানা কারণে পেট ফুলে থাকতে পারে, যার ফলে বাইরে থেকে দেখলে মনে হতে পারে যে ভুঁড়ি হয়েছে। আর তেমনটা হলে ব্যায়াম করেও মিলবে না তেমন সুফল। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক কীভাবে মুক্তি পাওয়া যাবে পেটের এই ফোলাভাব থেকে-

গবেষণায় দেখা গেছে, প্রধানত ৫টি কারণে পেট ফুলে থাকতে পারে। আর সেই কারণগুলিকে দূর করতে পারলেই দূর হবে পেটের ফোলাভাব। আসুন, জেনে নেওয়া যাক কারণগুলো কী কী—

১. কোষ্ঠকাঠিন্য:

যাঁরা কোষ্ঠকাঠিন্যে ভোগেন তাঁদের পেটে গ্যাস উৎপাদিত হয় এবং তা পেটেই আবদ্ধ হয়ে থাকে। যার ফলে পেট ক্রমশ ফুলতে থাকে। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে প্রচুর ফাইবার যুক্ত খাবার খান ও প্রতিদিন কিছু হালকা এক্সারসাইজ করুন। আর প্রয়োজন হলে ডাক্তারের পরামর্শ  নিন।

২. জল কম খাওয়া:

আমাদের মধ্যে অনেকে স্বাভাবিকভাবেই জল কম খান। আবার অনেকের অভ্যেস থাকে জল তেষ্টা পেলে কোল্ড ড্রিংক, কিংবা কফি খেয়ে তেষ্টা মেটানো। এরফলে  শরীরে যে জলাভাব ঘটে তার পরিণামে শরীরের বিভিন্ন ট্যিসু তাদের অভ্যন্তরস্থ জলীয় উপাদান নিজেদের মধ্যে সঞ্চিত করে রাখে। তার ফলে কোষগুলি আয়তনে ফুলে য়ায় এবং পেটকেও ফোলা দেখায়। কাজেই আমাদের সকলেরি উচিত পরিমাণমতো জল পান করা।

৩. মানসিক উদ্বেগ:

মানসিক উদ্বেগ বা স্ট্রেস নানাভাবে ক্ষতি করে শরীরের। গবেষণায় দেখা গেছে, যাঁরা স্ট্রেসে ভোগেন, তাঁদের পরিপাক যন্ত্র যথাযথভাবে কাজ করে না। ফলে পেটে গ্যাস তৈরি হয়, এবং সেই গ্যাস পেটে আবদ্ধ হয়ে থাকে। ফলে ফুলে থাকে পেট। কাজেই স্ট্রেস কমানোর জন্য নিয়মিত ধ্যান বা প্রাণায়াম করুন।

৪. কোল্ড ড্রিংক:

খেতে যতই ভাল লাগুক না কেন কোল্ড ড্রিংক বা সোডার মতো কার্বোনেটেড পানীয় পেট ফুলে যাওয়ার একটি অন্যতম প্রধান কারণ। কাজেই যদি আপনি স্বাস্থ্য সচেতন হতে চান‌ তবে অবশ্যই কোল্ড ড্রিংক খাওয়ার অভ্যেস ত্যাগ করুন।

৫. খাবার ঠিকমতো না চিবনো:

খাওয়ার সময় খাবার ঠিকমতো না চিবিয়ে গিলে নিলে তা হজম হতে সময় লাগে। ফলে পরিপাক প্রক্রিয়াও মন্থর হয়ে আসে। আর এর পরিণামে পেট ফুলে যায়। অর্থাৎ খাবার খাওয়ার সময়ে ভাল করে চিবিয়ে তবেই তা গিলুন। ডাক্তারদের মতে, খাবার মুখে দিয়ে ২০ বার চিবনোর পরে তা গলায় চালান করাই স্বাস্থ্যসম্মত।