আধুনিকতার নামে নতুন প্রজন্মের মেয়েদের দৈনন্দিন পোশাকে অনুপ্রবেশ ঘটছে প্রথাবিরোধী অশালীন রীতির পোশাক। এই পোশাক উস্কে দিচ্ছে বিপরীত লিঙ্গের কু-প্রবৃত্তিকে। ঘটছে ধর্ষণ, শ্লীলতাহানীসহ নানান অপ্রীতিকর ঘটনা। ভারতের এক খ্রিস্টান ধর্মগুরু বলেছেন, যে সব মেয়েরা পুরুষদের পোশাক পরেন বিশেষ করে জিন্স বা ট্রাউজার তাঁদের শরীরে পাথর বেঁধে সমুদ্রে ফেলে দেওয়া উচিত। ওই সব মেয়েদের সমুদ্রে ডুবিয়ে দেওয়া উচিত।
ভারতের একটি টেলিভিশন চ্যানেলে সম্প্রতি দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে খ্রিস্টান ধর্মগুরু বলেন, পুরুষদের যেমন মেয়েদের পোশাক পরা উচিত নয়। তেমনি নারীও যেন পুরুষদের পোশাক না পরেন, সে দিকে খেয়াল রাখা উচিত। এজন্য প্রত্যেক পরিবারের সতর্ক থাকা উচিৎ।
খ্রিস্টান ধর্মগুরু বলেন, যে সমস্ত নারীরা জিন্স পরেন, তাঁদের শরীরে পাথর বেঁধে সমুদ্রে ডুবিয়ে দেওয়া উচিত। পাশপাশি, যে মহিলারা পাপ করার জন্য পুরুষদের প্ররোচিত করেন, তাঁদেরও সমুদ্রে ডুবিয়ে দেওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেন ওই ধর্মযাজক।
ধর্মগুরু আরও বলেন, “চার্চে যখন কোনও মেয়ে জিন্স বা ট্রাউজার পরে আসেন বা খোলা চুলে চার্চে আসেন তখন চার্চ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার ইচ্ছে হয় আমার। চার্চে থাকার ইচ্ছে থাকেনা আর।” এসব বিষয় নিয়ে আরও প্রশ্ন ও অবাক করা কথা তোলেন ওই ধর্ম যাজক।
তিনি বলেন, কিছু কিছু পরিবারের ছেলেদের ধর্ষক হয়ে ওঠার জন্য প্ররোচনা নাকি মেয়েরাই দেন। আধুনিকতার নামে ঘরে থেকেই কু-প্রবৃত্তি শুরু হয় প্রথমে।
ধর্মগুরুর এমন বক্তব্য চাউর হওয়ার পর থেকেই শুরু হয়েছে সমালোচনা। রাজনৈতিক, সমাজিকসহ বিভিন্ন মহলের সমালোচনায় বলা হচ্ছে, বর্তমান যুগে দাঁড়িয়েও কীভাবে নারীদের সম্পর্কে এমন মন্তব্য করতে পারেন ওই ধর্মযাজক।