নারী স্বাধীনভাবে থাকতে গেলেই আশপাশ থেকে ছুটে আসে প্রশ্নবাণ। নারী স্বাধীনতা অর্জনের একটি উল্লেখযোগ্য দিক হলো স্বাবলম্বিতা অর্জন বা নিজের পায়ে দাঁড়ানো। পুরুষশাসিত সমাজে নারীর স্বাবলম্বী বা আত্মনির্ভরশীল হওয়া মানে এক কঠিন সংগ্রাম ও সাধনার ব্যাপার। নারী এ পথে পা বাড়ালে পারিবারিক ও সামাজিকভাবে বাধাপ্রাপ্ত হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি থাকে। অনেকসময় নিজেরও দ্বিধা কাজ করে- একা থেকে সামলাবেন কতদূর! তাই নিজের মতো থাকতে চাইলে কয়েকটা বিষয় মাথায় রাখা চাই। আসুন জেনে নিই নারীর স্বনির্ভরতায় করণীয় সম্পর্কে-
ভিত্তিহীন ও অপ্রাসঙ্গিক প্রশ্ন এড়িয়ে চলুন : পারিবারিক বা স্বামী-স্ত্রীর ব্যক্তিগত বিষয়গুলো নিয়ে অন্যদের তেমন মাথাব্যথা নেই। তবে অবিবাহিত শুনলেই হাজারটা প্রশ্ন! এখনও বিয়ে হয়নি কেনো? ছেলেবন্ধু আছে কি? বাসায় ফেরা হয় কখন?- ইত্যাদি প্রশ্নগুলো যারা করতে পারে তাদের এড়িয়ে যান। সমমনা এবং আপনার বয়স ও পেশা অনুযায়ী বন্ধু এবং আচরণ নির্ধারণ করুন।
সকালে বিছানায় চা বা কফি খাওয়া বাদ: এটা খুব একটা গ্রহণযোগ্য নয়। কারণ প্রতিদিন নিজের কাজ নিজে করার ক্ষেত্রে এটা বেশ কষ্টকর।
আজ কী রান্না করবেন ভাবা বাদ: প্রতিদিন কী খাবেন সেটার মেন্যু ঠিক করার দরকার কি? বরং মাথায় যা আসে তাই খান। তবে পুষ্টির দিকটা খেয়াল রাখুন। মানে প্রতিদিন যে ভাত খেতে হবে এমন তো কোনো কথা নেই।
নিজের নিরাপত্তা: মা-বাবা, ভাই-বোন কিংবা বন্ধুর সঙ্গে থাকা এক কথা। আর সম্পূর্ণ নিজের মতো থাকা আরেক কথা। যেমন- বাসায় কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে পণ্য সরবরাহ করতে কেউ আসলে তাকে বাসায় ঢুকতে দেওয়া নিরাপদ নাও হতে পারে। তাই তাকে বাইরে রেখেই বিল পরিশোধ করুন।
আর্থিক চিন্তা: আর্থিকভাবে সচ্ছল-ব্যক্তি নিজের সিদ্ধান্ত নিজেই নিতে পারেন। যখন হাতে টাকা থাকে না তখন অভিভাবকের কাছ থেকে টাকা চাওয়া কোনো ঠিক উপায় নয়। তাই নিজের জন্য একটি নির্দিষ্ট বাজেট করুন এবং সে অনুযায়ী চলুন ।
আত্নীয়-স্বজন্দের সাথে সাক্ষাৎ: মাঝে মাঝে আত্মীয়স্বজন, বন্ধু বা প্রতিবেশিদের সঙ্গে যোগাযোগ এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন। এতে নিজেকে তাদের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু থেকে সরিয়ে আনা যায়। তাছাড়া জবাবদিহি ও উপদেশ শোনা অথবা নারীর অধিকার বিষয়ক আলোচনা থেকে নিজেকে দূরে থাকার জন্য এটা একটা ভালো উপায়।