শরীরের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশ নখ যা আমাদের হাত-পায়ের সৌন্দর্যকে আরো বৃদ্ধি করে দেয়। নিয়মিত নখের যত্ন না নিলে তা পাতলা হয়ে ভেঙে যেতে পারে কিংবা ফাংগাস কিংবা ব্যাকটেরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ঘটতে পারে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুকি। আর তাই নখের যত্নের ব্যাপারে হতে হবে আরও সচেতন।
সাবান দিয়ে হাত ধুয়ার পর অবশ্যই ময়েশ্চারাইজিং হ্যান্ড ক্রিম অথবা লোশন লাগিয়ে নেবেন। কেননা সাবান হাতের ত্বকের পাশাপাশি নখের ময়েশ্চারও নষ্ট করে দেয়।
নখের যত্নে বাড়িতেই করে নিতে পারেন মেনিকিউর। নখ কাটার আগে ঈষদুষ্ণ পানিতে নখ কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রাখুন। ভেজা নখ নরম থাকে, ফলে কাটতে সুবিধা হয় এবং নখেরও কোনো ক্ষতিও হয় না।
অনেক সময় দেখা যায় বিভিন্ন কারণে নখ ভেঙে যায়। নখ ভেঙে গেলে কখনই টেনে ছিঁড়বেন না। টেনে ছিঁড়লে ব্যথা তো লাগবেই সাথে নখের শেপও নষ্ট হয়ে যাবে। ভাঙা নখ সাবধানে নেইল কাটার দিয়ে কেটে ফেলুন।
নখকে সবসময় পরিষ্কার ও শুকনো রাখুন। নখ ভেজা থাকলে নখের ভেতর ব্যাকটেরিয়া, ফাংগাস ইত্যাদি জন্মাতে পারে যার থেকে ইনফেকশন হওয়ার আশঙ্কা কয়েক গুণ বেড়ে যায়।
দাঁত দিয়ে নখ কাটা অথবা নখের চারপাশের চামড়া কাটার বদ অভ্যাস যত তাড়াতাড়ি ছাড়তে পারবেন ততই ভালো।
সবসময় নেইলপলিশ ব্যবহার না করাই ভালো। এতে করে নখের স্বভাবিক রং নষ্ট হয়ে যায়। দু-সপ্তাহ অন্তর নেইল পলিশ ফেলে কয়েকদিন নখ এমনই রেখে দিন। এতে নখে আলো-হাওয়া লাগে, যা নখ ভালো রাখতে সাহায্য করে।
রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে পেট্রোলিয়াম জেলি অথবা ময়েশ্চারাইজার দিয়ে নখ ম্যাসাজ করা ভালো।