পুষ্টির অভাব আর সঠিক পরিচর্যার অভাবে চুলের স্বাভাবিক বৃদ্ধি থেমে যেতে পারে। সাধারণ কয়েকটি পন্থায় চুল ফিরে পেতে পারে হারানো যৌবন।
প্রাকৃতিক পন্থায় চুলের বৃদ্ধির জন্য রয়েছে বেশ কয়েকটি প্রচলিত ও প্রতিষ্ঠিত পন্থা। সাজসজ্জাবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে এসব পন্থাগুলো নিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদন অবলম্বনে দ্রুত চুল বড় করার কয়েকটি কৌশল এখানে দেওয়া হল।
আগা ছাটা: প্রতি আট থেকে ১০ সপ্তাহ পর পর আগা ছাঁটা চুল বাড়তে সাহায্য করে। অতিরিক্ত ময়লা ও রোদের কারণে চুল রুক্ষ, ক্ষতিগ্রস্ত ও ভঙ্গুর হয়ে যায়। নিয়মিত চুল ছাঁটা হলে আগা ফাটা অংশ পড়ে যায় ও চুল দ্রুত বড় হয়।
কন্ডিশনার ব্যবহার: খেয়াল করলে দেখবেন, চুলের নিচের অংশ উপরের তুলনায় পাতলা ও ক্ষতিগ্রস্ত হয় বেশি। এর কারণ হল চুলের প্রান্তে পর্যাপ্ত পুষ্টি পৌঁছায় না। প্রতিবার চুল ধোয়ার পরে কন্ডিশনার ব্যবহার করা হলে তা চুলের ‘কিউটিকল’য়ের ক্ষতি হওয়া থেকে রক্ষা করে। এতে চুল স্বাস্থ্যোজ্জ্বল হয় ও দ্রুত বৃদ্ধি পায়।
আরামদায়ক গরম তেল মালিশ: আরামদায়কভাবে গরম তেল মালিশ চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। প্রতি সপ্তাহে একবার ভালোভাবে গরম তেল মালিশ চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখে এবং চুল পড়া কমায়। আকর্ষণীয় চুল পেতে ও চুলের বৃদ্ধি বাড়াতে নারিকেল, জলপাই বা ল্যাভেন্ডার তেল ব্যবহার করা উপকারী।
প্রতি রাতে চুল আঁচড়ানো: শুনে থাকবেন, অতিরিক্ত চুল আঁচড়ানো চুল পড়ার ও ক্ষতির অন্যতম কারণ। তবে সব সময় সত্য নয়। এটা নির্ভর করে কেমন চিরুণি ব্যবহার করা হচ্ছে তার উপর। সিন্থেটিকের চিরুণি চুলের ক্ষতি করে। তাই এর পরিবর্তে পশুর লোম থেকে তৈরি চিরুণি ব্যবহার করুন যা মাথার ত্বকের রক্ত সঞ্চালন বাড়াতে সাহায্য করে।
ঘুমাতে যাওয়ার আগে অন্তত ৫০ বার চুল আঁচড়ান এটা গোড়া শক্ত করার পাশপাশি চুল দ্রুত বড় হতে সাহায্য করে।
ভেজা চুলে তোয়ালে পেঁচিয়ে রাখবেন না: আমরা অনেকেই চুলে শ্যাম্পু করার পরে তোয়ালে পেঁচিয়ে রাখি। ভেজা চুল পড়ে যাওয়ার প্রবণতা বেশি থাকে। তাই এই অবস্থায় চুল পেঁচিয়ে রাখলে ক্ষতি হয়। শক্ত তন্তুর তৈরি তোয়ালে দিয়ে চুল ঘষে মোছাও চুল পড়ার অন্যতম কারণ। তাই এই অভ্যাস বাদ দেওয়ার চেষ্টা করুন। একান্তই বাদ দিতে না পারলে মিহি তন্তুর তোয়ালে ব্যবহার করুন।
চুল উল্টিয়ে সামনের দিকে এনে নিচু করুন: শুনতে আজব মনে হলেও এটা চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। প্রতিদিন তিন মিনিটের জন্য মাথার পেছনের চুল উল্টিয়ে সামনের দিকে এনে মাথা নিচু করে থাকুন। এটা মাথার ত্বকের রক্ত সঞ্চাচলন বাড়ায় এবং চুল বড় হতে সাহায্য করে।
ডিমের সাদা অংশের মাস্ক: ডিম, প্রোটিনে ভরপুর যা চুল মসৃণ করতে ও নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে। এক চা-চামচ তেল (জলপাইয়ের তেল হলে ভালো) ও একটি ডিমের সাদা অংশ ভালোভাবে মিশিয়ে মাথার ত্বকে লাগান। ২০ মিনিট পর শ্যাম্পু করে নিন। মাসে একবার এই পদ্ধতি মেনে চললে চুলে অভাবনীয় পরিবর্তন আসবে।