সুস্বাস্থ্য আমাদের জন্য কতটা প্রয়োজনীয় তা তো সবারই জানা আছে। টাকা পয়সা যতই থাক কিন্তু শরীর সুস্থ না থাকলে তা মূল্যহীন। অসুস্থ শরীর তথা দুর্বলশরীর আমাদের কারোরই কাম্য নয়। তাই শরীর দুর্বলতার কারণ ও তা দূর করার কিছু উপায়। শারীরিক দুর্বলতা অনুভবের রয়েছে বেশকিছু কারণ। কিছু কিছু মারাত্মক শারীরিক সমস্যার লক্ষণ হিসেবেও প্রকাশ পায় এই শারীরিক দুর্বলতা। তাই জেনে রাখা উচিৎ মূলত কোন কোন কারণে শারীরিক দুর্বলতা অনুভব হতে পারে। এতে করে অস্বাভাবিক কিছু নজরে এলে দ্রুত চিকিৎসা করে নিরাময় সম্ভব হয়। আসুন জেনে নিই দুর্বলতা কাটাতে করণীয় সম্পর্কে-
শারীরিক দুর্বলতা অনুভবের অন্যতম প্রধাণ কারণ সঠিক বিশ্রাম এবং পরিমিত ঘুমের অভাব। আপনি হয়তো মনে করছেন আপনি যতোটা ঘুমান তা আপনার জন্য সঠিক আসলে তা নয়। অনিদ্রা সমস্যা হলে শারীরিক দুর্বলতা অনুভব করবেন আপনি।
দেহ পানিশূন্য হলে শারীরিক দুর্বলতা অনুভূত হয়। একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষ হিসেবে আপনি যদি ৮-১০ গ্লাস প্রতিদিন পান না করেন তাহলে শারীরিক দুর্বলতায় ভুগবেন আপনি।
আয়রনের অভাব হচ্ছে দেহে আয়রনের অভাব হলে শারীরিক দুর্বলতা অনুভূত হতে থাকে এবং সেই সাথে মাথা ঘোরানোর সমস্যাও দেখা দেয়। এই শারীরিক দুর্বলতা রক্তস্বল্পতার লক্ষণ প্রকাশ করে।
আপনি সবকিছু পারফেক্ট চান এই সমস্যাটি মানসিক হলেও এর প্রভাব পড়ে শরীরের ওপরেও। আপনি যখন মন থেকে সব জিনিস পারফেক্ট করতে যান তখন আপনাকে অনেক বেশি পরিশ্রম করতে হয় যা একেবারেই অযথা ধরণের হয়ে থাকে। অতিরিক্ত কাজ মানসিক চাপ বাড়ায় এবং এই মানসিক চাপের কারণেই শারীরিক দুর্বলতা অনুভব হতে থাকে।
অনেকটা সময় পেট খালি থাকার পরেও যদি আপনি সকালে নাস্তা না করেন তাহলে আপনার দেহের সুগার লেভেল একেবারেই নেমে যাবে। এবং আপনি যদি নাস্তা না করেন তাহলে পুরো দিনই আপনি দুর্বলতা অনুভব করতে থাকবেন।
চা/কফির ক্যাফেইন তাৎক্ষণিকভাবে আপনাকে এনার্জি দিয়ে থাকলেও তা ক্ষণিকের জন্যই থাকে এবং দেহের এই রেশ কেটে গেলে আগের চাইতেও বেশি দুর্বলতা অনুভব করতে থাকবেন আপনি। তাই চা/কফি দিনের শুরুতে নয় সকালের নাস্তার পর করুন এবং দিনে ২-৩ কাপের বেশি নয়।