বর্ষার উচ্চতাপের পর বৃষ্টির মৌসুমে শরীরে কিছুটা পানি জমতে পারে, আবার বাতাসে আর্দ্রতার মাত্রা বেরে যাওয়ায় ত্বকেও নানা ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। ব্রণ, র্যাশ, ব্রণের দাগ ইত্যাদির পরিমাণ বেড়ে যায় এই আবহাওয়ায়। তাছাড়া বর্ষায় হজম প্রক্রিয়া এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কিছুটা কমে যায় যার প্রভাব পড়ে ত্বকের উপরও। তবে এই সময় খাদ্যতালিকায় কিছু খাবার যুক্ত করা গেলে তা ত্বকের দীপ্তি ধরে রাখতে সাহায্য করবে। আসুন জেনে নিই ত্বক ভালো রাখতে খাবেন যে খাবারগুলো-
করলা:
এতে রয়েছে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং ম্যাঙ্গানিজ যা স্বাস্থ্যের পাশাপাশি ত্বকের জন্যও উপকারী। করলা ত্বকের রংয়ের অসমতা দূর করার পাশাপাশি দীপ্তি বাড়াতেও সাহায্য করে। এছাড়া রয়েছে ভিটামিন সি যা কোষের ক্ষতি পুষিয়ে ত্বক সুস্থ্য রাখতে উপযোগী। তাছাড়া করলা কোলাজেন গঠনেও সহায়ক।
কুমড়া, বেগুন ও টমেটো:
মাটির নিচে যে সব সবজি হয় সেগুলো সারা বছরের জন্য উপযোগী হলেও বর্ষার মৌসুমে খাওয়ার ক্ষেত্রে কিছুটা সচেতন হতে হবে। কারণ এসব সবজির মধ্যে কাদামাটি লেগে থাকে যা ভালোভাবে পরিষ্কার করা না হলে অ্যালার্জি বা অন্যান্য সমস্যা হওয়ার ঝুঁকি থেকে যায়। তাই এই মৌসুমে কুমড়া, কপি, টমেটো, বেগুন, ঢেরস ইত্যাদি সবজি বেছে নিন।
হলুদ:
প্রদাহরোধী উপাদান সমৃদ্ধ হলুদ ত্বকের নানান সমস্যা সমাধানের জন্য দীর্ঘদিন ধরেই পরিচিত। তরকারি, সবজি, চা বা দুধ যে কোনো কিছুর সঙ্গেই অল্প পরিমাণে হলুদ মিশিয়ে নিয়মিত খাওয়া যেতে পারে। এতে ব্রণ, ত্বকের রংয়ের অসমতা, ব্রণের দাগ ইত্যাদি সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। তাছাড়া এর অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল উপাদান সংক্রমণের ঝুঁকি কমাতে সহায়ক।
জিরা:
শরীরে দুষিত পদার্থের পরিমাণ বেড়ে গেলে ত্বকে ব্রণের সমস্যা দেখা দেয়। এছাড়াও পরিবেশ দূষণের কারণেও ত্বকের নানান সমস্যা দেখা দিতে পারে। জিরায় এমন কিছু উপাদান রয়েছে যা শরীরে জমে থাকা দূষিত উপাদান দূর করতে সাহায্য করে। তাই প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় জিরা রাখা উচিত।
কলা:
এই মৌসুমে তরমুজ বা পানি সমৃদ্ধ ফল এই মৌসুমে এড়িয়ে চলা ভালো, কারণ এগুলো থেকে শরীরে পানি জমার সম্ভাবনা থাকে। বরং বর্ষায় কলা উপকারী একটি ফল। এতে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন এ, যা স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। পাশাপাশি এটি ত্বকের মলিনভাব দূর করতেও সাহায্য করে।
গ্রিন টি:
চা বা কফি শরীরে পানি শূন্যতার কারণ হতে পারে। অন্যদিকে গ্রিন টির অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট শরীরের বিষাক্ত পদার্থ দূর করতে সাহায্য করে। তাই নিয়মিত গ্রিন টি পানের অভ্যাস ত্বকে ব্রণের সমস্যা কমায় এবং বয়সের ছাপ দূর করতে সাহায্য করে।
ঝাল ও মসলাদার খাবার এড়িয়ে চলুন:
অতিরিক্ত ঝাল ও মসলাদার খাবার হজম ক্ষমতা দুর্বল করে ফেলে। তাছাড়া “ব্রণ হওয়ার অন্যতম কারণ হল দুর্বল হজম প্রক্রিয়া। তাই প্রচুর আঁশ সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া উচিক। এছাড়া ভাপে বা সিদ্ধ করে খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। এছাড়াও শরীরে পানি জমার সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে লবণ খাওয়ার পরিমাণে লাগাম টানতে হবে।”