ত্বকের যত্নে খুবই উপকারী টোনিং। কেননা টোনিং ত্বকের বন্ধ লোপকূপ খুলতে সাহায্য করে। যার ফলে ত্বকে ময়েশ্চারাইজার খুব ভালোভাবে কাজ করে। তবে অবশ্যই ত্বকের ধরন অনুযায়ী টোনিং করা জরুরি। একেক জনের ত্বকের ধরন একেক রকমের হয়ে থাকে। আর যেহেতু এখন শীত পড়তে শুরু করেছে তাই ত্বকের বাড়তি যত্নের জন্য খুবই জরুরি টোনিং।
শুষ্ক ত্বক :
৩ কাপ বাঁধাকপি কুচি, ৬ কাপ পানি ভালোভাবে মিশিয়ে ৩০ মি. মৃদু আঁচে জ্বাল দিন। এবার ঠান্ডা করে ছেঁকে এর সঙ্গে ১০ ফোঁটা বাদাম তেল ভালো করে মিশিয়ে বোতলে ভরে ফ্রিজে রাখুন। কটন বল দিয়ে প্রতিদিন ব্যবহার করুন। এতে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে। এই টোনিংটি ফ্রিজে ৭ দিন পর্যন্ত রাখতে পারেন।
তৈলাক্ত ত্বক :
৩ কাপ তুলসী পাতা, ৩ কাপ পুদিনা পাতা, ৬ কাপ পানি ভালো করে মিশিয়ে ২০ মিনিট জ্বাল দিয়ে ঠাণ্ডা করে ফ্রিজ করুন। যারা তৈলাক্ত ত্বকের অধিকারী তারা দিনে ২ বার ব্যবহার করুন।
স্বাভাবিক ত্বক :
৩ কাপ গোলাপের পাপড়ি, ৩ কাপ পানি মৃদু আঁচে জ্বাল করুন। যেহেতু গোলাপের পাপড়ি খুবই সংবেদনশীল। তাই মৃদু আঁচে ১৫ মিনিট জ্বাল দিয়ে টোনার তৈরী করে নিতে হবে।
কিছু উপকারী টোনার :
নিম :
৩ কাপ নিমপাতার সঙ্গে ৬ কাপ পানি মিশিয়ে জ্বাল করুন। খেয়াল রাখুন যতক্ষণ পর্যন্ত না পানি সবুজ রং ধারণ না করে ততক্ষণ জ্বাল দিন। এরপর ঠান্ডা হলে টোনার হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। র্যাশ, ফুসকুড়ি, ব্রণের সমস্যা যাদের আছে তাদের জন্য খুবই উপকারী একটি টোনার।
গ্রিন টি :
৩ কাপ পানিতে ৩ টেবিল চামচ গ্রিন টি মিশিয়ে ৩০ মিনিট জ্বাল দিয়ে ঠাণ্ডা করুন। টোনার হিসেবে ব্যবহার ছাড়াও ফেসপ্যাকের সঙ্গে মিশিয়েও ব্যবহার করতে পারেন এটি।
অ্যালোভেরার টোনার :
২ কাপ অ্যালোভেরার জেল, ৪ কাপ পানি মিশিয়ে স্টিলের পাত্রে ঢেকে মৃদু আঁচে জ্বাল করে নিতে হবে। ঠান্ডা হলে ছেঁকে বোতলে রেখে টোনার হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। বাইরে থেকে এসে মুখ পরিষ্কার করে এটা নিয়মিত ব্যবহার করলে রোদে পোড়া ভাব দূর হবে। কেননা সানবার্নের সবচেয়ে ভালো ওষুধ হচ্ছে অ্যালোভেরা।