চা বা কফি তৈরির অন্যতম উপাদান গুঁড়ো দুধ। শুধু চা কফি নয় গুঁড়ো দুধ ব্যবহৃত হয় পায়েস, পুডিং ও মিষ্টি তৈরিতেও । তবে আপনি কি জানেন ত্বকের যত্নেও ব্যবহার করা যায় এই গুঁড়ো দুধ? ব্ল্যাক হেডসের সমস্যা, ত্বকে কালো দাগ কিংবা ব্রণের কালো দাগ দূর করতে বেশ কার্যকর গুঁড়ো দুধের প্যাক । আসুন তবে জেনে নিই গুঁড়ো দুধের কার্যকর কিছু প্যাক তৈরির নিয়মাবলী
১। লেবুর রস ও গুঁড়ো দুধ
এক টেবিল চামচ গুঁড়ো দুধের সাথে দুই চা চামচ লেবুর রস মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এই পেস্টটি মুখ এবং ঘাড়ে লাগিয়ে রাখুন। ১৫ মিনিট পর শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এটি সপ্তাহে একবার ব্যবহার করুন।
২। গুঁড়ো দুধ এবং কমলার খোসা
কমলার খোসা গুঁড়োর সাথে দুধ মিশিয়ে নিন। এবার এই প্যাকটি ত্বকে ২০ মিনিট লাগিয়ে রাখুন। শুকিয়ে গেলে চক্রাকারে ম্যাসাজ করে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। প্যাকটি তুলে ফেলার পর ত্বকে পাঁচ মিনিট বরফ ঘষুন । তাৎক্ষনিক ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করবে এই প্যাকটি।
৩। চালের গুঁড়ো এবং গুঁড়ো দুধ
একটি পাত্রে চাল এবং গুঁড়ো দুধ পানিতে গুলিয়ে দুই ঘন্টা রেখে দিন। এরপর এই মিশ্রণটি বেটে পেস্ট করুন। এই পেস্টটি ত্বকে ব্যবহার করুন। চাইলে এতে মেশাতে পারেন লেবুর রসও । এটি ত্বক নরম করার সাথে সাথে কাজ করবে স্ক্রার্ব হিসেবেও ।
৪। পেঁপে,গোলাপ জল এবং গুঁড়ো দুধ
এক টেবিল চামচ গুঁড়ো দুধ, এক টেবিল চামচ পেঁপের পেস্ট এবং ছয়-সাত ফোঁটা গোলাপ জল একসাথে মিশিয়ে নিন। এই প্যাকটি ত্বকে লাগিয়ে ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। শুকিয়ে গেলে পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। গোলাপ জল টোনার হিসেবে কাজ করে। আর গুঁড়ো দুধ এবং পেঁপে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে থাকে।
৫। গুঁড়ো দুধ এবং হলুদ
এক চা চামচ হলুদের গুঁড়োর সাথে কাঁচা দুধ মেশান। দুধ এবং হলুদের পেস্টটি ত্বকে ব্যবহার করুন। ২০ মিনিট পর শুকিয়ে গেলে পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। শুষ্ক ত্বকের ক্ষেত্রে মেশাতে পারেন মধু। তবে প্যাক ব্যবহারের আগে মুখ কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে নিন। এতে ত্বকের রোমকূপ খুলে যাবে এবং প্যাক ভালভাবে ত্বকে কাজ করবে।