গ্রীষ্মের ফলগুলোর মধ্যে অন্যতম হল আম। আর গরমে সূর্যের আলোকরশ্মিতে পুড়ে যাওয়া ত্বককে বাঁচাতে দরকার বেশি যত্ন। নারী-পুরুষ উভয়ের ক্ষেত্রেই এই যত্নের দরকার। চলুন জেনে নিই আম দিয়ে ত্বকের যত্নের নিয়মাবলী। আসুন জেনে নিই ত্বকের যত্নে আম এর ব্যবহার সম্পর্কে-
ভারতীয় উপমহাদেশীয় এক প্রকারের সুস্বাদু ফল আম।কাঁচা অবস্থায় রং সবুজ এবং পাকা অবস্থায় হলুদ রং হয়ে থাকে। আমকে বলা হয় ফলের রাজা। কেবল স্বাদে মিষ্টি বা ত্বককে ভালো রাখাই নয়, এর মধ্যে রয়েছে এমন অনেক পুষ্টিগুণ যা শরীরকে ভালো রাখে। সারা বিশ্বে প্রায় এক হাজার প্রজাতির আম রয়েছে। প্রায় সাড়ে চার হাজার বছর আগে হিমালয়ের আশপাশের সমতলভূমিতে এ ফলটি আবিষ্কৃত হয়েছিল।
-প্রতিবার খাওয়ার সময় এক টুকরো আম ত্বকে বু্লিয়ে নিন। এতে ত্বকের ডালনেস কমবে আর জেল্লা বাড়বে।
– প্রতিদিন একটি আম খেলে ভেতর থেকে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ে।
– ব্রণ সারাতে সাহায্য করে পাকা আম।
– রোদে পোড়া ত্বকে পাকা আমের ক্বাথ ও গুঁড়া দুধ মিশিয়ে ব্যবহার করুন। উজ্জ্বলতা ফিরে পাবেন।
-মধু দিয়ে আমের পাল্প দিয়ে তৈরি করা মিশ্রণও ত্বক পরিস্কার রাখার জন্য দারুণ কাজের।
– তাছাড়া ত্বকের দাগে নিয়মিত আমের রস ব্যবহারে দাগ হালকা করতে সাহায্য করে।
-আম রক্তে ক্ষতিকারক কোলেস্টেলের মাত্রা কমায়। ডায়াবেটিসের সঙ্গে লড়াই করে। ক্যানসার কোষকে মেরে ফেলতে সাহায্য করে।
-আমে রয়েছে উচ্চ পরিমাণ প্রোটিন যা জীবাণু থেকে দেহকে সুরক্ষা দেয়।
-ক্লিনজার হিসেবে ত্বকের উপরিভাগে কাঁচা এবং পাকা আম ব্যবহার করা যায়। আম লোমকূপ পরিষ্কার করে এবং ব্রণ দূর করে। বার্ধক্যের ছাপ রোধে আমের রস বেশ কার্যকরী। কাঁচা আমের রস, রোদে পোড়া দাগ দূর করতে সাহায্য করে।
সতর্কতা: কাঁচা আম দিয়ে নয় পাকা আম দিয়েই করতে হবে ত্বকের যত্ন।