কারো গায়ের রঙ সুন্দর বোঝাতে আমরা সাধারণত কাঁচা হলুদের সাথে তুলনা করে থাকি। কাঁচা হলুদ আমাদের গায়ের রঙ উজ্জ্বল হতে তো সাহায্য করেই, পাশাপাশি ত্বকের ভেতর থেকেও যত্ন নেয়। এবার তবে ত্বকের পরিচর্যা হোক কাঁচা হলুদে
গোসলের আগে কাঁচা হলুদ, মধু, ডিমের কুসুম ও নারিকেল তেল মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে পুরো মুখে-গলায় লাগিয়ে রাখুন। আধ ঘন্টা বাদে তুলে ঠান্ডা পানিতে মুখ ধুয়ে ফেলুন।
ব্রণের সমস্যা থাকলে কাঁচা হলুদের রস, মুলতানি মাটি মিশিয়ে নিমপাতার রস এক সঙ্গে মিশিয়ে পেস্ট করে ত্বকে লাগান। প্যাক শুকিয়ে এলে গোলাপজল দিয়ে ম্যাসাজ করে প্যাকটি নরম করে নিন এবং পানির সাহায্যে ধুয়ে ফেলুন।
দাগ বা ব্রণ দূর করতে টমেটোর রস, কাঁচা হলুদ আর মধু মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে ত্বকে ব্যবহার করুন।
কাঁচা হলুদ, মসুর ডাল একসাথে বেটে পেস্ট তৈরি করে মুখে লাগিয়ে ২০ মিনিট পরে ধুয়ে ফেললে ত্বক উজ্জ্বল হয়ে উঠবে।
হলুদের গুড়োর সাথে শশার রস অথবা লেবুস রস মিশিয়ে লাগান। ১৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। দেখবেন ত্বক কতটা মসৃণ লাগে।
হলুদ বেটে সারা শরীরে স্ক্রাব হিসেবে ব্যবহার করুন। এতে ত্বক কোমল হবে।
কাঁচা হলুদের রস, মুলতানি মাটি মিশিয়ে মুখে লাগান। প্যাক শুকিয়ে এলে গোলাপজল দিয়ে মুছে নিন।
সামান্য একটু কাঁচা হলুদ আর মধু মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে লাগাতে পারেন।
অল্প একটু দুধের ক্রিমের সাথে হলুদ মিশিয়ে লাগালে ত্বক হবে কোমল, মসৃণ আর সতেজ।
হলুদের গুঁড়া ব্রণ প্রতিরোধ করে। হলুদ বাটা ক্ষতস্থানের ব্যথা দ্রুত কমায় এবং ঘা প্রতিরোধ করে।
সতর্কতাঃ রূপচর্চায় হলুদের ব্যবহার দীর্ঘদিনের। ত্বকের যত্নে নিয়মিত হলুদ ব্যবহার করতে পারেন। তবে হলুদ দিয়ে কখনো রোদে বের হবেন না। তাহলে ত্বক পুড়ে যাবে। হলুদ দিয়ে রূপচর্চা করবেন রাতের বেলা। কখনই দিনের বেলা নয়।