ত্বকের তৈলাক্ততা খুবই বিরক্তিকর। তাছাড়া তৈলাক্ত ত্বকে লোমকূপ বড় হয়ে যায় যার ফলে তেল জমে সেসব বন্ধ হয়ে ব্রণও ওঠে। আর তাই এ ধরনের ত্বকের চাই বাড়তি কিছু যত্ন। আমাদের প্রকৃতিতে প্রাপ্য অনেক উপাদান রয়েছে যা দিয়ে খুব সহজেই প্রাকৃতিক উপায়ে ত্বকের তৈলাক্ততা দূর করা সম্ভব। আসুন জেনে নিই সে সম্পর্কে-
শসা ও লেবুর রস
শসার রস ত্বকের নিচের তেল গ্রন্থি থেকে তেল বের করে তৈলাক্ততা দূর করে। লেবুর রসে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকায় এটি ব্রণ হবার সম্ভাবনাও কমিয়ে দেয়। একটি বাটিতে ১ টেবিল চামচ শসার রস নিয়ে এতে ১ টেবিল চামচ লেবুর রস ভালো করে মিশিয়ে নিন। এরপর এই মিশ্রণটি একটি তুলোর বলের সাহায্যে পুরো ত্বকে ভালো করে লাগিয়ে ৩০ মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ২/৩ বার ব্যবহারে ভালো ফল পাওয়া যায়।
টমেটো
এটি ত্বকের তৈল গ্রন্থি শুকোতে সাহায্য করে। ফলে স্থায়ীভাবে তৈলাক্ত ত্বক থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। টমেটো সেদ্ধ করে ব্লেড করে নিয়ে টমেটো পিউরি বানিয়ে মুখে লাগিয়ে ৫-৭ মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত ব্যবহারে ত্বকের তৈলাক্ততা দূর হবে খুব সহজেই।
মুলতানি মাটি
মুলতানি মাটির তৈরি মাস্ক ত্বকের তৈলাক্ততা দূর করতে অনেক বেশি কার্যকরী। প্রথমে ২ টেবিল চামুচ মুলতানি মাটি ও গোলাপজল নিয়ে একটি মসৃণ পেস্ট তৈরি করুন। এরপর পেস্টটি ভালো করে মুখে লাগান। ১৫-২০ মিনিট পরে কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ২/৩ বার ব্যবহারে দ্রুত তৈলাক্ত ত্বক থেকে মুক্তি পাবেন।
লবণ স্প্রে
ত্বকের তৈলাক্ততা দূর করতে খুব কার্যকরী লবণ স্প্রে। একটি স্প্রে বোতলে ১ কাপ পানি নিয়ে এতে ১ টেবিল চামচ লবণ গুলে নিয়ে মুখের তৈলাক্ত স্থানটিতে স্প্রে করুন। এরপর খানিকক্ষণ রেখে দিয়ে টিস্যু দিয়ে মুছে ফেলুন। প্রতিদিন এভাবে করলে অনেকাংশে ত্বকের তৈলাক্ততা কমে আসবে।