ফুচকা…….!!!! জিনিষটা পছন্দ করেন না এমন মানুষ আজকের যুগে খুঁজে পাওয়া ভার। বিশেষ করে নারী-মেয়েদের এক তুমুল জনপ্রিয়তার ভাগীদার এই ফুচকা। তার উপর তেঁতুল জল হলে তো কথা ই নেই। ফুচকা শেষ হয় না কিন্ত তেঁতুল জল শেষ হয়ে যায়। আর এই লেখাটি তাদের জন্য……..
আহমেদাবাদের ফুচকাওয়ালা চেতন মারওয়াড়ি। এক নামেই চেনে সবাই তাকে। তার রূপ কিংবা সৌন্দর্য্যের জন্য নয়, বরং তার ফুচকার জন্য!!! চেতন মারওয়াড়ির তেঁতুল জল কিভাবে এত সুস্বাদু হতে পারে এ নিয়ে প্রতিনিয়ত ফুচকাপ্রেমিদের মধ্যে চলে যতসব জল্পনা-কল্পনা। অবশেষে উন্মোচন হয় সেই রহস্যময় মুখোশ। তেঁতুল জলে জলের সাথে অতিরিক্ত হিসেবে মিশাতেন টয়লেট ক্লিনার। আর এটিই এনে দেয় তাকে সমস্ত আহমেদাবাদে সেরা ফুচকাওয়ালার খ্যাতি। বিষয়টি জানাজানির পর আহমেদাবাদের লাল দরওয়াজা এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন। তার পর পরই ঐ তেঁতুল জল পরীক্ষার জন্য সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে ল্যাবে পাঠানো হয় এবং সেখানেই প্রকাশ পায় এই আশ্চর্যজনক তথ্য।
তবে ঘটনাটি আজকের নয়…..২০০৯ সালের। দীর্ঘ এই সাত বছর ঘটনাটি আদালতে প্রক্রিয়াধীন ছিলো। এতদিনে এই মামলার রায় বের হলো। এর মধ্য দিয়েও চুটিয়ে ব্যবসা করে যাচ্ছিলেন চেতন বাবু। আদালতের পক্ষ থেকে বলা হয়, টয়লেটের প্যান পরিশোধক হিসেবে যে দূষিত অক্সালিক এসিড ব্যবহার করা হয় সেটিই তিনি তেঁতুল জলে ব্যবহার করতেন। আর এর মানবদেহে প্রবেশের ফলাফল চিন্তাতীত, ভয়াবহ।
এদিকে এ ব্যাপারে চেতনের মতামত জানতে চাইলে তিনি বলেন, একদিন যখন তিনি টয়লেট পরিষ্কার করছিলেন তখন ভুলক্রমে পাশে থাকা তেঁতুল জলে সেখান থেকে কিছু অংশ পরে যায়। তখন তিনি এটা ফেলে দিবেন ভেবে একটু মুখে নিয়ে স্বাদ নেন। আশ্চর্যজনকভাবে দেখেন এর স্বাদ দ্বিগুণ পরিমাণ বেড়ে গেছে। এর পর থেকেই তিনি এই পথ অবলম্বন করা শুরু করেন।
এখন হাজতবাস ই তার একমাত্র গতি। অবশ্য এর জন্য দেশবাসীর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন চেতন।