জর-ঠাণ্ডা সর্দিকাশি আমাদের প্রায় সবারই বছরের কোনো না কোনো সময় হয়ে থাকে। আর এটা হলে ডাক্তার, ওষুধের ফার্মেসীতে আমাদের দৌড়াদৌড়ির কোনো অন্ত নেই। কিন্ত সামান্য একটু সচেতন হলেই বিভিন্ন ভেষজ উপায়ে এই জ্বর-ঠাণ্ডা সারানো যায়। এখন চলছে বসন্তকাল। খুব ঠাণ্ডাও না আবার গরমও না। এই সময়টায় ঠাণ্ডার অস্তিত্ব কম বেশি লক্ষ্য করা যায়। আর এ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য কতোগুলো ভেষজ পদ্ধতি তৈরি এবং এদের উপকারিতা আলোচনা করা হল-
তৈরিবিধিঃ
ফর্মুলা- ১ঃ একটি বাটিতে আপেল সাইডার ভিনেগারের সাথে এক কাপ তাজা লেবুর রস, দুই টেবিল-চামচ কাঁচামধু, আধা চা-চামচ শুকনো মরিচ, এক টেবিল-চামচ শুকনো আদা, আধা চা-চামচ হলুদের গুঁড়া এবং এক চিমটি গোলমরিচ মিশিয়ে একটি কাঁচের বোতলে নিয়ে ভালো করে ঝাঁকিয়ে সিরাপ বানিয়ে নিন। তারপর প্রতিদিন এক চামচ করে খেলে কয়েকদিনেই ঠাণ্ডা সেরে যায়।
ফর্মুলা- ২ঃ প্রথমে ৫/৬ টি মূলা, ১ টি পেঁয়াজ টুকরো করে কেটে ব্লেন্ড করে নিতে হবে। এরপর এক কাপ লেবুর রস ও এক কাপ মধু মিশিয়ে আবার ব্লেন্ড করতে হবে। তারপর একটি পাত্রে রেখে ফ্রিজে সংরক্ষণ করলে এক সপ্তাহ পর সিরাপে পরিণত হবে। এরপর প্রতিদিন এক চামচ করে খেলে ২/৩ দিনেই ঠাণ্ডা ভালো হয়ে যায়।
উপকারিতাঃ
১। অ্যাপেল সাইডার ভিনেগারঃ শ্লেষ্মা তরল করতে এটি সাহায্য করে।
২। লেবুঃ লেবুর রসে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন ‘সি’ আছে। এর সাইট্রিক এসিড শ্লেষ্মা নরম করতে এবং তেল এ্যান্টিসেপটিক হিসেবে কাজ করে।
৩। মধুঃ এর অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল উপাদান ঠাণ্ডার সমস্যা দূরীকরণে কার্যকরী ভূমিকা রাখে।
৪। শুকনো মরিচঃ সাইনাস পরিষ্কার রাখে।
৫। আদাঃ এর গুণ বলে শেষ করার মতো নয়। সর্দিকাশি নিরাময় এবং গলা ব্যাথা দূরীকরণে মুখ্য ভূমিকা রাখে।
৬। হলুদঃ এর ঝাঁজ বন্ধ নাক খুলে দেয় এবং দ্রুত শ্বাস নিঃশ্বাস নিশ্চিত করে।
৭। গোলমরিচঃ কফ পরিষ্কার করে গলা ফ্রেশ করে।
৮। মুলাঃ ব্রংকাইটিস, ঠাণ্ডা এবং অ্যালার্জিজনিত সমস্যা থেকে দূরে রাখে।
৯। লবঙ্গঃ ঠাণ্ডা ও বুক বন্ধ হওয়া সমস্যা থেকে মুক্তি মেলে।
১০। পেয়াজঃ এটিও শ্লেষ্মা দূর করতে সাহায্য করে। এর অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল উপাদান সংক্রমণ দূর করে নাককে ঝামেলা মুক্ত রাখে।