চিনি এড়িয়ে চলা ভালো, কিন্ত বর্জন করা ঠিক না। মাঝে মধ্যে চা নাশতা ইত্যাদিতে সামান্য চিনি খেলে তেমন কোন ক্ষতি করে না। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) এর মতে, একজন মানুষের দৈনিক ৫০ গ্রাম চিনি বিভিন্ন খাদ্যের সাথে মিশ্রিত করে খাওয়া ক্ষতিকর নয়।
চিনি বা শর্করা জনস্বাস্থের শত্রূ বলে বিবেচিত। তাই সুস্বাস্থের জন্য যাবতীয় খাদ্য চিনিমুক্ত হওয়া উচিত। অনেকের মতে চিনি মানুষকে মোটাসোটা করে, ওজন বাড়ায়, যার প্রতিক্রিয়া দেখা যায় হার্টে ও অস্থিসন্ধিতে। মূলত আমাদের শরীরে ক্যালরি যত বেশি প্রবেশ করবে, আমাদের তত বেশি স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দেবে।
বিশেষজ্ঞের মতে, আমরা সব ধরনের প্রক্রিয়াজাত খাবার যদি এড়িয়ে চলি তাহলে স্থুলতা কমাতে পারি। ফাস্টফুড আমদের অন্যতম শত্রূ। সবধরনের প্রক্রিয়াজাত বা প্যাকেটজাত খাবার কেনার সময় প্যাকেটের গায়ে লেখা দেখলেই আমরা বুঝতে পারি সেটা চিনিমুক্ত কিনা। এভাবে কোন খাবারে চিনি আছে সেটা জেনে তা এড়িয়ে চললে স্থুলতা এড়িয়ে সুস্থ থাকতে পারি। ওজনও কমাতে পারি।
তবে কোন কোন বিশেষজ্ঞ ভিন্নমত পোষণ করেন। তারা বলেন, চিনিকে একেবারে না বলা উচিত নয়। আমাদের শরীরে চিনিরও প্রয়োজন আছে। অনেকে আবার মধু খেতে পরামর্শ দেন। এটা মিষ্টি হলেও ক্যালরিবিহীন। শরীর যখন ক্যালরি শূন্য হয়ে পড়ে তখন শরীর কাপতে থাকে, ঘাম হয়, চোখ অন্ধকার হয়ে আসে তখন চিনির শরবত, চিনির শিরা ইত্যাদি খাওয়া জরুরি হয়ে পড়ে।