সৌন্দর্য সবারই কাম্য। সবাই তরুণ বা যৌবনদীপ্ত থাকতে চায় এবং সেটা স্বাভাবিক। কিন্ত বয়স বাড়ার সাথে সাথে এবং রোদে পুড়ে মুখমন্ডলের চারপাশে কুঞ্চন বা বলিরেখার সৃষ্টি হয়, যা সবচেয়ে বেশি দেখা যায় কপাল ও চোখের চার পাশে। একে বলা হয় Crow feet বলিরেখা বা চোখের কোণে ভাজ।
বয়স বাড়ার সাথে সাথে এবং রোগ ও অস্বাভাবিক আবহাওয়া, অত্যধিক ভেজাল খাবার ও মানসিক চাপের কারণে বলিরেখা বেশি হয়। চামড়ার নিচের কোলাজেন টিস্যু ও ইলাস্ট্রিক টিস্যু ভীষণভাবে ক্ষয়প্রাপ্ত হয় ও চারপাশের পেশি আয়তনে কমে যায়। যার ফলে চামড়ায় ভাজ পড়ে এবং বয়স্ক দেখায়।
বলিরেখাগুলো স্বাভাবিক অবস্থায় কাজের পায়ের দাগের মতো থাকে এবং হাসতে গেলে আরো ভীষণভাবে ফুটে ওঠে। কারো তরুণ বয়সেই মুখমন্ডলের চামড়ায় ভাজ পড়ে। তবে সাধারণত ৩৫ বছরের পর থেকে এই ভাজ পড়তে পারে।
বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসা পদ্ধতি যেমন – ট্রিটিনয়ন ক্রিম, কেমিক্যাল পিলিং, বটোলিনিয়াম টক্সিন (botox) ডারমাফিলার ইনজেকশন, ডারমাব্রাসন, লেজার থেরাপি ইত্যাদি তেমন কোন ফল দিতে পারেনি। তাই এই ভাজ বা বলিরেখা নিয়ে চিন্তার অন্ত নেই। অনেক হারবাল ও কসমেটিক ক্রিম অনেক দিন থেকে ব্যাবহার করা হচ্ছে, কিন্ত তেমন কোন ফল হচ্ছে না।
নিরাময়:
- মুখমন্ডলে বয়সের ভাজ বিশেষ করে চোখের কোণের (Wrinkle) বা কুঞ্চন রেখা দূর করতে প্রথমে দরকার মানসিক দুশ্চিন্তামুক্ত থাকা।
- চামড়ার ক্ষয় থেকে রেহাই পেতে (Antioxidant) খাবার খেতে হবে। তবে বিশেষ প্রক্রিয়ায় চামড়াকে Stimulation করলে বিশেষ ফল পাওয়া যায়।