কর্মব্যস্ত এই যান্ত্রিক জীবনে সকালটা শুরু হয় এক ধরনের চাপের মাধ্যমে। আমাদের এই যান্ত্রিক জীবনে খুবই গুরুত্বপূর্ণ এই সকালটা। সকালে কাজের তাড়াহুড়া এড়াতে গুরুত্ব বুঝে কর্মপরিকল্পনা করতে হবে। যতটা সম্ভব আগের দিন কাজ এগিয়ে রাখতে হবে। আসুন জেনে নিই চাপ মুক্ত সকাল পেতে করণীয় সম্পর্কে-
ঘুমাতে যাওয়ার সময় নির্দিষ্ট করা: সকালে ভালোভাবে ঘুম থেকে ওঠার জন্য রাতে নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমাতে হবে। আপনি যদি রাতে ঠিক মতো ঘুমান তাহলে সকালে মেজাজ ফুরফুরে থাকবে। প্রতিদিন ঠিক সময়ে বাসার আলো বন্ধ করার পাশাপাশি বয়স অনুযায়ী পর্যাপ্ত ঘুম হচ্ছে কিনা সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
সব কিছুর জন্য একটি নির্দিষ্ট স্থান নির্ধারন করুন: সকালের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র যেমন- ব্যাগ, খাবার বাক্স এবং জামা কাপড় রাখার জন্য যদি কোনো নির্দিষ্ট স্থান না থাকে তাহলে সেটার ব্যবস্থা করুন। এতে সকাল বেলায় ঝামেলা কম সৃষ্টি হবে। এছাড়াও নির্দিষ্ট স্থানে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র গুছিয়ে রাখা হলে শিশুরাও নিজেদের জিনিস নিজেরাই খুঁজে নিতে পারবে। চাবি, মানি ব্যাগ এবং ফোন রাখার জন্য ছোট একটি ঝুড়ি ব্যবহার করা যেতে পারে।
রাতে সব কিছু গোছগাছ করে রাখা: সন্তানের স্কুলের ব্যাগ, জামাকাপড় এমনকি জুতা পরিষ্কারের কাজটিও রাতে করে রাখা উচিত। এতে সকালে বাড়তি কাজের চাপ থাকবে না এবং প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র তৈরি থাকায় তাড়াহুড়া বাঁধবে না। এমনকি নিজের প্রয়োজনীয় জিনিসগুলোও গুছিয়ে রাখুন আগে থেকেই।
অন্যদের আগে ঘুম থেকে ওঠা: পরিবারের অন্যদের আগে ঘুম থেকে উঠলে আপনি নিজের জন্য কিছু একান্ত সময় কাটাতে পারবেন। এমনকি যদি অন্যদের চেয়ে ১৫ মিনিট আগেও ঘুম থেকে ওঠেন তাহলে আলাদা কিছু সময় পাবেন। এক কাপ কফি নিয়ে জানালার পাশে বসে সময় কাটাতে বা হালকা ব্যায়ামের মাধ্যমে শুরু করতে পারেন দিনটা।
গুরুত্ব বুঝে কাজ: সকালের কাজ কর্ম যতটা সম্ভব সহজ করার চেষ্টা করুন। সকালের গুরুত্বপুর্ণ কাজ যেমন- ব্রাশ, গোসল এবং নাস্তার প্রতি বেশি মনোযোগ দিন। সকালে খুব বেশি কাজ করতে যাওয়া আর সেধে ঝামেলা করা সমান কথা। তাই গুরুত্ব অনুসারে কাজের তালিকা করে সে অনুযায়ী কাজ করুন।