সুস্বাস্থ্য অনেকটা নির্ভর করে রাতে ঘুমানোর ওপর। সঠিক সময় ও নিয়ম মেনে ঘুমালে স্বাস্থ্য ভালো থাকে। অনেকেই আছেন রাত জাগেন। ফেসবুকিং করেন, ছবি দেখেন কিংবা আরো অনেক রকম কাজ করে রাত জেগে থাকেন। এটি স্থাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। কারণ সারাদির পরিশ্রমের পর আপনার শরীর বিশ্রাম চায়। শরীরকে বিশ্রাম না দিলে দিনদিন শরীর খারাপের দিকে যাওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়। আর তাই আজ আমরা জানবো ঘুমাতে যাওয়ার আগে করণীয় সম্পর্কে-
উদ্বেগ বিদায় করুন
সারা দিনে যত কাজই করুক না কেন, বিছানায় যাওয়ার আগে পেশাগত সব কাজকে বিদায় জানান। তবে বিশেষ ভাবনার দুয়ার খুলে দিন। বাতি নেভানোর আগে চিন্তার মাধ্যমে দেহ-মনে শান্তি আনুন। এটা আসলে পরদিনের কাজের পুঁজি। অনেকে এক্ষেত্রে একটা আরামদায়ক গোসল কিংবা হালকা মেডিটেশনের কাজও করে থাকে।
পরিকল্পনা
আজকের কাজের গোটা পরিকল্পনা গতকালই করে রাখুন। নয়তো কাজের ক্ষেত্রটা হয়ে পড়বে উত্তাল। ঘুমের আগে বা শুয়ে শুয়ে দুশ্চিন্তা করার প্রবণতা মানুষের মধ্যে ব্যাপকভাবে কাজ করে। এই দুশ্চিন্তা থেকে বেরোতে না পারলে ঘুমে শান্তি নেই। তাই ঘুমাতে যাওয়ার আগে পরের দিনের কাজকর্মের পরিকল্পনা সেরে ফেলতে পারেন।
পড়া
আচরণবিষয়ক বিজ্ঞানীরা বিভিন্ন গবেষণায় জানান, সফলকামী ব্যক্তিরা ঘুমানোর আগে বই পড়ে। অপ্রয়োজনীয় চিন্তা থেকে নিজেদের বিচ্ছিন্ন করতেই নয়, নতুন কিছু শিখে নিতেও এ কাজটি করতে পারেন। দৈনন্দিন কাজের জরুরি অংশ হয়ে ওঠে হালকা পড়াশোনা। এর মাধ্যমে মস্তিষ্কে প্রশান্তি আসে। আর এটি আপনাকে প্রস্তুত করে তোলে পরের দিনের কাজের জন্য।
বিচ্ছিন্ন হোন
যারা কাজকর্মে সফল, তারা খুব ভালো করেই জানে যে প্রযুক্তি অনেক ক্ষেত্রে দারুণ ক্ষতিকর। এ জন্য বিশেষ সময়গুলোতে তারা সবার সঙ্গে সব ধরনের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে। বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ধকল সম্পর্কে তারা অবগত। ঘুমের আগে পরিবারের সঙ্গে সময় দেওয়ার কাজটি করে দায়িত্বের সঙ্গে।
বদঅভ্যাস ত্যাগ করুন
অনেকে বিছানায় যাওয়ার আগে ধূমপান বা মদ্যপান করে থাকে। একে সচেতনভাবে এড়িয়ে যান। কেননা এ কাজের রূপ ভীষণ ভয়াবহ।