আমাদের দৈনন্দিন জীবনে হাটার উপযোগিতা বলে শেষ করার মতো নয়। পরিবেশন যেমন একটা খাদ্যে বাড়তি সজীবতা আনে তেমনি সব কিছুতেই কিছু স্পেশাল সংযোজন এর উপযোগিতা বহু গুণ বাড়িয়ে দেয়। হাটার ক্ষেত্রেও অনেকটা একই রকম।
আমরা সাধারণত রাস্তায় বা মাটিতে হাঁটাচলা করি। সেটা শরীরচর্চার উদ্দেশ্যেই হোক বা ব্যাক্তিগত কাজেই হোক। কিন্ত আমরা যদি খালি পায়ে ঘাসের উপর প্রতিদিন কিছুটা সময় হাঁটি তাহলে একদিকে যেমন তা শরীরের উপকার করে, অন্যদিকে শরীর ও মন দুই ই ভালো রাখে। তাছাড়া ওজন কমাতে ও সুস্থ থাকতে হাঁটা সবচেয়ে ভালো শরীরচর্চা। সবুজ ঘাস, সূর্যের আলো ও অসাধারণ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আপনার মন ও শরীরকে মুহূর্তেই ভালো করে দেবে।
কিন্ত আমাদের এই ইট পাথরের শহরে এই ধরনের পরিবেশ খুঁজে পাওয়া আজকাল মেলা ভার। তবে পৌর বা সিটি কর্পোরেশনগুলো এই সমস্যার কথা চিন্তা করে আজকাল অনেক প্রাকৃতিক উপাদান সমৃদ্ধ কৃত্রিম পার্ক তৈরি করেছেন। তাই সকাল বেলা ব্যায়ামের ফাঁকে আশেপাশের পার্কগুলোতে খুঁজে নিতে পারেন আপনার কাঙ্ক্ষিত সেই জায়গা। খালি পায়ে হাঁটার উপকারিতাগুলো আপনাদের বিশেষ অবগতির জন্য তুলে ধরা হলোঃ
<> স্ট্রেস দূরীভূত করেঃ ভোরবেলায় ঘাসের উপর দিয়ে হাঁটলে মন খুব শান্ত থাকে। সকালের সূর্যের আলো শরীরের জন্য খুবই উপকারী। এতে ভিটামিন ডি থাকে যা শরীরে এর অভাব দূর করে। সকালে বাতাসে বিশুদ্ধ অক্সিজেন থাকে যা শরীরের জন্য খুবই উপকারী।
<> পা সুস্থ রাখেঃ হাঁটা শরীরের জন্য খুবই ভালো ব্যায়াম। এতে পায়ের পেশি মজবুত হয়। লিগামেন্ট ও পায়ের পাতা শক্ত ও দৃঢ় হয়। পায়ে জোর আসে। খালি পায়ে ঘাসের উপর হাঁটলে যেকোন আঘাত নিরাময় হয়, হাঁটুর সমস্যা ভালো হয়, পিঠের সমস্যাও ভালো হয়ে থাকে।
<> দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি পায়ঃ আমাদের পায়ে অনেক Reflexology জোন থাকে। এগুলো মাথার ব্রেইন ও চোখের সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত। তাই সবুজ ঘাসের উপর খালি পায়ে হাঁটলে তা আমাদের চোখের দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখে। তাছাড়া চোখের স্বাস্থ্যের জন্য সবুজ রং খুবই উপকারী। তাই চোখের সুস্থতার জন্য প্রতিদিন সকালে ঘাসের ওপর দিয়ে নিয়ম করে হাঁটুন।
<> হাড় মজবুত করেঃ সকালে খালি গায়ে হাঁটলে সূর্যের রশ্মির ভিটামিন ডি শরীরে জমা হয় এবং তা দেহের হাড় মজবুত করণে বিরাট ভূমিকা রাখে। তাছাড়া হাড়ের যেকোনো সমস্যা নিরসনে ভিটামিন ডি এর কোনো জুড়ি নেই। তাই সুস্থ থাকতে সকালের বা বিকেলের মৃদু রোদে খালি পায়ে ঘাসের ওপর হাঁটার অভ্যাস করুন। এতে যেমন শারীরিক উন্নতি ঘটে তেমনি মানসিক উন্নতিও সাধিত হয়।