আসছে গরমের দিন। প্রচণ্ড রোদের তাবদাহে জীবন অতিষ্ঠপ্রায়। আর এ সময় ঘরদোর পরিষ্কার রাখার পাশাপাশি বেছে নিতে পারেন বিশেষ কিছু কৌশল। কেননা তাতে গরম অনেকটাই কম অনুভূত হবে।
গরম দূর করতে ঘর থেকে অপ্রয়োজনীয় জিনিস সরিয়ে ফেলুন। নজর রাখুন, ঘরে যেন খবরের কাগজ স্তূপাকৃতভাবে না থাকে।
সিল্কের জিনিসপত্র সরিয়ে ফেলুন।
মেঝেতে উলের কার্পেট পাতা থাকলে তুলে ফেলুন।
কাচের পাত্রে বা পাথরের থালা অথবা বাটিতে পানি ঢালুন। পানিভর্তি পাত্রে কিছু পাথর রাখুন। কিছু ফুল দিয়ে দিন। এবার যে দরজা বা জানলা দিয়ে সবচেয়ে বেশি বাতাস আসে, তার সামনে রেখে দিন।
টেবিলফ্যানের সামনে বাটিভর্তি বরফ রাখুন। এটি খুব সহজ পদ্ধতি। এতে বরফে লেগে ফ্যানের বাতাস আরও ঠান্ডা হবে এবং সেই ঠান্ডা বাতাস ঘরে ছড়িয়ে যাবে।
ঘরে ক্রস ভেন্টিলেশন রাখুন। মানে যে দিকের দরজা বা জানলা খুলবেন, তার বিপরীতের দরজা এবং জানালা খুলে রাখুন। এতে ঠান্ডা বাতাস ঘরে প্রবেশ করবে এবং বিপরীত দিক দিয়ে গরম বাতাসকে বের করে দেবে।
ঘরে অযথা বাতি জ্বালিয়ে রাখবেন না। যত অত্যাধুনিক বৈদ্যুতিক ল্যাম্পই জ্বালান না কেন, অপ্রয়োজনে জ্বালিয়ে রাখবেন না। ল্যাম্পের আলো ঘরের বাতাসকে গরম করে তোলে। সম্ভব হলে ঘরে কম পাওয়ারের আলো লাগান।
ইলেক্ট্রিক প্লাগ অন রাখবেন না। প্লাগে কোনো গ্যাজেট গুঁজে রাখলে তার কাজ শেষ হতেই সুইচ বন্ধ করে দিন এবং ইলেক্ট্রনিক গ্যাজেটকে প্লাগ থেকে খুলে নিন।
চালভর্তি বালিশ তৈরি করুন। চাল খুব ঠান্ডা থাকে। তাই গরমকালে চালের তৈরি বালিশ মাথায় দিতে পারেন। এতে চোখে-মুখে ঠান্ডার সতেজতা পাবেন। বালিশে চাল ভরার আগে এর মধ্যে কিছু নিমপাতা মিশিয়ে দিন। এতে চালে পোকা হবে না।
বারান্দায় বা জানলায় খসখস অথবা বাঁশের পর্দা ব্যবহার করুন। এতে পানি দিয়ে দিন। এমন ঠান্ডা অনুভব করবেন যে, এসির কথা ভুলে যাবেন।
ঘরে অর্কিড জাতীয় গাছ রাখুন। গাছ ঘরের মধ্যে থাকা গরম বাতাস থেকে কার্বনডাই-অক্সাইড সংগ্রহ করে সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়া চালু রাখে। এতে ঘরের গরম বাতাস হাল্কা হয় এবং তাতে প্রচুর পরিমাণে জলকণা সঞ্চিত হয়। তাই ঘরে ঠান্ডা থাকে।
একটা ব্র্যাকেটে বা ঝুড়িতে টবে লাগানো গাছ দিয়ে ভর্তি করুন এবং দরজা বা জানলার সামনে রেখে দিন।