গরমে ত্বকের চাই একটু বাড়তি যত্ন। গরমে ত্বকে তেলের পরিমাণটা একটু বেশিই থাকে। তৈলাক্ত ত্বকে খুব সহজেই ধুলোময়লা আটকে যায়। ত্বকে অতিরিক্ত তেল তেল ভাবের ফলে ব্রণ, ফুসকুড়িসহ নানা রকম সমস্যা দেখা দেয়। তাই বিড়ম্বনার মাত্রা যেন আরও বেড়ে যায়।
তৈলাক্ত ত্বকে লোমকূপ বড় হয়ে যায়। তেল জমে সেসব বন্ধ হয়ে ব্রণ উঠে। তাই গরমে প্রতিকূল আবহাওয়া থেকে তৈলাক্ত ত্বক রক্ষা করতে হলে প্রতিদিন ভালোভাবে ত্বক পরিষ্কার করতে হবে। বাড়িতে বসেই ত্বকের যত্ন নিতে পারেন।
মুখের তৈলাক্ত ভাব দূর করতে যা করবেনঃ
দিনের শুরুতেই মুখ ভালো করে পরিষ্কার করে নিন। রাতে যদি ডিপ ক্লিন করে থাকেন ত্বক, তাহলে সকালে পরিষ্কার করুন সাধারণ ফেসওয়াশ দিয়ে।
মুখে উষ্ণ পানির ঝাপটা দিন। তারপর ফেসওয়াশ লাগান। ম্যাসেজ করে ধুয়ে তারপর সাধারণ পানি দিয়ে ধুয়ে নিন। মুখে যেন সাবান লেগে না থাকে।
শশার রস তৈলাক্ততা দূর করতে খুবই কার্যকর। প্রতিদিন বাইরে থেকে এসে শশার রস দিয়ে মুখ পরিষ্কার করতে পারেন।
শশার প্যাক: তৈলাক্ত ত্বকের জন্য শশা অনেক উপকারী। তাই নিয়ম করে সপ্তাহে ২-৩ দিন শশার প্যাক ব্যাবহার করুন। ব্যবহারের সুবিধার জন্য ১-২টি শসা ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে আইস কিউব ট্রেতে আইস করে রেখে দিতে পারেন। যখন প্রয়োজন হবে একটি করে কিউব বের করে ব্যবহার করুন।
যদি আপনার ত্বকে ব্রণ থাকে তাহলে শশার সাথে নিম পাতা মিশাতে পারেন। কারণ নিম পাতা ব্রণের জন্য খুব উপকারী।
মুলতানি মাটি ও গোলাপজলের মাস্কঃ এই মাস্কটি ত্বকের তৈলাক্ততা দূর করার জন্য অনেক আগে থেকেই ব্যবহার হয়ে আসছে। এটা খুবই সহজ একটি মাস্ক কিন্তু অনেক বেশী কার্যকরী। প্রথমে ২ টেবিল চামচ মুলতানি মাটি নিয়ে এতে মসৃণ পেস্ট তৈরি হয় এমন পরিমাণে গোলাপজল দিন। গোলাপজল অল্প করে দেবেন। যাতে বেশী পাতলা না হয়ে যায় পেস্টটি সেদিকে লক্ষ্য রাখুন। এরপর এই পেস্টটি একটি ব্রাশের সাহায্যে ভালো করে মুখে লাগান। চাইলে হাত দিয়েও লাগাতে পারেন। ১৫-২০ মিনিট পরে কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ২/৩ বার ব্যবহারে দ্রুত তৈলাক্ত ত্বক থেকে মুক্তি পাবেন।
মনে রাখবেন, তৈলাক্ত ত্বকের জন্য সাধারণ পানির বদলে ফিল্টার করা পানি বা ফুটানো পানি ব্যবহার করাই ভালো।