Home লাইফস্টাইল খেলে কুল হবেন হেলথফুল

খেলে কুল হবেন হেলথফুল

চলছে শীত মৌসুম। বাজারে বাজারে চলছে কুলের সমারোহ। জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত এর চাহিদা থাকে ব্যাপক। একদিকে যেমন দেশি ফলের অভাব মেটাতে দেশি টক বড়ই আর বাও কুল গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখে তেমনি অন্যদিকে এর রয়েছে স্বাদ এবং অনন্য পুষ্টিগুণ। আর দামও হাতের নাগালেই।

পুষ্টিবিদদের মতে, ভিটামিন ও খনিজ উপাদানের আরেকটি উৎস এই কুল। বাংলাদেশের মাটি কুল উৎপাদনের জন্য বিশেষভাবে উপযোগি। এটি শুকিয়ে অনেকদিন পর্যন্ত সংরক্ষণ করা যায়। তাছাড়া কাঁচা ও শুকনো কুল আচার তৈরিেব ব্যাবহার হত। এটি দাঁতের জন্য ও বেশ উপকারি। এক গবেষণাতে দেখা গেছে। বরইয়ে প্রচুর পরিমান ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম আছে। কিন্ত ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য বাও কুল মোটেও সুখজনক নয়। পাকা কুলে প্রচুর পরিমান চিনি থাকে যা ডায়াবেটিস রোগীদের যম হিসেবে স্বীকৃত।

কুলের হাজারো পুষ্টিগুণের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু হলঃ

১। কুলে রয়েছে প্রচুর পরিমান ভিটামিন সি যা বিভিন্ন সংক্রামক রোগ যেমনঃ জিহবাতে ঘা, ঠোঁটের কোণে ঘা, টনসিলাইটিস ইত্যাদি রোগ দূর করতে কুলের ভূমিকা স্বীকৃত।

২। ক্যান্সার প্রতিরোধে কুলের কোনো জুরি নেই।

৩। উচ্চরক্তচাপ ও ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য টক বরই খুবই উপকারী ফল।

৪। জর, সর্দিকাশি প্রতিরোধ করে। এগুলা প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্টসমৃদ্ধ।

৫। যৌবন ধরে রাখতে বরই ম্যাজিকের মত কাজ করে।

৬। ত্বকের রুক্ষতা দূর করে ত্বককে আকর্ষণীয় করে তুলে।এর জন্য রূপচর্চায় আজকাল হরহামেশাই ব্যাবহার হচ্ছে কুল।

৭। বরই খেলে খাবারের রুচি বাড়ে। তাছাড়া কোষ্ঠকাঠিন্য প্রশমনে এবং ক্ষুধা বর্ধক হিসেবে এর কোনো জুড়ি নেই।