হাড় ও পেশিসহ শরীরের অন্যান্য অঙ্গ প্রত্যঙ্গ সুস্থ রাখতে শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন ডি দরকার হয়। আমাদের ত্বকের নিচের কোলেস্টেরল থেকে উৎপন্ন হওয়া ৭-ডিহাইড্রোকোলেস্টেরল সূর্যের আলোর প্রভাবে সক্রিয় ভিটামিন ডি৩’য়ে রূপান্তরিত হয়। এটা শরীরের হাড়, পেশিসহ শরীরের অন্যান্য অঙ্গ প্রত্যঙ্গকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।আসুন জেনে নিই কেন দরকারি ভিটামিন ডি
শিশু ও কিশোর-কিশোরীদের জন্য দৈনিক ১০ মাইক্রো গ্রাম ভিটামিন ডি যথেষ্ট। প্রাপ্ত বয়স্কদের দৈনিক ৫ মাইক্রো গ্রাম এবং গর্ভবতীদের জন্য ১০ মাইক্রোগ্রাম ভিটামিন ডি প্রয়োজন। ভিটামিন ডি’য়ের প্রধান কাজ হাড়ের সুস্থতা রক্ষা করা। এছাড়াও-
* এটা হাড় ও দাঁতের ক্যালসিয়াম ও ফসফরাসকে খনিজকৃত করতে সাহায্য করে। ফলে হাঁড় ও দাত মজবুত থাকে।
* ভিটামিন ডি রক্তে ক্যালসিয়ামের স্বাভাবিক পরিমাণ বজায় রাখতে সাহায্য করে।
* শরীরের বিশেষ কিছু গ্রন্থি ও পেশি যেমন- অন্ত্র, বৃক্ক ইত্যাদির উপর প্রভাব রাখে।
* যে কোনো বয়সে হাড়ের গঠন ও রক্ষণাবেক্ষণে ভিটামিন ডি সহায়তা করে।
ভিটামিন ডি’র অভাবে শিশুদের রিকেট ও বড়দের অস্টিওপোরোসিস নামক হাড়ের রোগ দেখা দেয়।
রিকেট রোগে শিশুদের পা বাঁকিয়ে যায়। কবজি ও গোড়ালির হাড় বেড়ে যায়, বুকের পাঁজরের হাড়ে গুটির মতো দেখা দেয়। তাছাড়া শিশুদের মাথার খুলির আকারের পরিবর্তন, অনেকটা চৌকোনাকার দেখা যায়। মেয়ে শিশুদের ক্ষেত্রে কোমড়ের হাড় ঠিক মতো বৃদ্ধি না পাওয়ায় পরে সমস্যা দেখা দেয়।
ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার
ভিটামিন ডি’র প্রধান উৎস সূর্যালোক। এছাড়াও আরও কিছু প্রাণিজ উপাদান থেকে ভিটামিন ডি পাওয়া যায়।
ভিটামিন ডি’র ঘাটতি পূরণের জন্য এসব খাবার খাওয়া ও নিয়ম করে সকালের রোদে কিছুক্ষণ হাঁটাহাটি করা যেতে পারে।
যেমন- ডিমের কুসুম, দুধ, মাখন, যকৃত, তৈলাক্ত ও সামদ্রিক মাছ ইত্যাদি। তাছাড়া শিশু খাদ্য ও টিনজাত গুড়াদুধে ভিটামিন ডি যোগ করা থাকে।
তবে মনে রাখতে হবে, অতিরিক্ত ভিটামিন ডি গ্রহণ করা ক্ষতিকর। এতে রক্তে ক্যালসিয়াম ও ফসফরাসের মাত্রা বেড়ে যায়। তখন বমি ভাব, ডায়রিয়া ও কিডনিতে নানা রকমের অসুবিধা দেখা দিতে পারে।