যে কোন মুখরোচক খাবারে কিশমিশের উপস্থিতি থাকা বাধ্যতামূলক। এতে স্বাদের মাত্রা বেড়ে যায় দ্বিগুণ। শুধুমাত্র রান্নার স্বাদ বৃদ্ধিই নয়, স্বাস্থ্যের জন্যেও কিশমিশ খুবই উপকারী। এর মিষ্টি আর টক ভাব মুখের জড়তা কাটাতে যেমন সাহায্য করে তেমনি আবার খাবারের স্বাদ বাড়াতেও সাহায্য করে। কিশমিশ দেখতে ছোট হলেও এতে লুকিয়ে আছে অনেক গুণ। চলুন জেনে নিই কিশমিশের গুণ সম্পর্কে-
১) কিশমিশের মধ্যে রয়েছে পলিফেনলস এবং অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টিইনফ্লেমেটরি উপাদান যা কাঁটা ছেড়া বা ক্ষত হতে ইনফেকশন হওয়ার সম্ভাবনা দূরে রাখে আর ঘা দ্রুত সারিয়ে তোলা।
২) গরমে আরাম দিতে পারে এই ছোট এক টুকরো কিশমিশ। যাদের শরীর দূর্বল, রক্ত শূন্যতায় ভুগছেন তাদের জন্য মহা ঔষধ হচ্ছে কিশমিশ।এটি রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতাও বৃদ্ধি করে।
৩) এমনকি বিষণ্নতাও দূর করে থাকে কিশমিশ।
৪) কিশমিশে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে লৌহ উপাদান, যা রক্তশূন্যতা দূর করতে সাহায্য করে।
৫) কিশমিশে বিদ্যমান রয়েছে আঁশ বা ইনসলিউবল ফাইবার যা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর ও হজম করতে বিশেষ ভূমিকা রাখে। কিশমিশে থাকা এই আঁশ কোলোরেক্টারাল ক্যান্সার ঝুঁকি কমাতেও সাহায্য করে।
৬) কিশমিশের অ্যান্টি-কোলেস্ট্ররেল উপাদান রক্তের খারাপ কোলেস্ট্ররেল দূর করতে সাহায্য করে। এছাড়া পলিফেনল নামক অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট কোলেস্ট্ররেল শোষণকারী এনজাইমকে নিয়ন্ত্রণ করে।
৭) হাড়ের ক্ষয় প্রতিরোধ করতে কিশমিশের তুলনা নেই। হাড় ক্ষয়ের অন্যতম কারণ হলো বোরন নামক খনিজ পদার্থের অভাব। এছাড়া খনিজ লবনের অভাবে অস্টিওপরোসিস যা এক প্রকারের হাড় ক্ষয় রোগ তাও কিশমিশ দূর করতে সাহায্য করে।
৮) কিশমিশে বিদ্যমান বোরন অস্টিওপরোসিস রোগের প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে এবং মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা ও স্মৃতিশক্তি বাড়িয়ে দেয়। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে কিশমিশ দারুণভাবে কাজ করে। কিশমিশের প্রধান উপাদান পটাশিয়াম সোডিয়াম রক্ত চাপের মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণ করে এবং শরীরের বিষাক্ততা ও রক্তচাপ কমিয়ে দেয়।
৯) কোলন ক্যান্সার প্রতিরোধ করে কিশমিশ। প্রত্যেকদিনের ডায়েটে কিশমিশ রাখলে, তা ক্যান্সার কোষ তৈরি হওয়াও প্রতিরোধ করে।
১০) পটাশিয়াম এবং ম্যাগনেশিয়াম থাকার জন্য কিশমিশ অ্যাসিডিটিও প্রতিরোধ করে। রেসপিরেটরি সিস্টেম সঠিক রাখে।
১১) চোখ ভালো রাখে। এ কারণে প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় কিশমিশ রাখুন।
১২) ক্যাভিটি এবং দাঁতের অন্যান্য বিভিন্ন সমস্যা সমাধান করে কিশমিশ। মাড়ি সুস্থ রাখে। তার সঙ্গে দাঁত সাদাও করে।
১৩) ইনসমনিয়া বা অনিদ্রার সমস্যাও দূর করে কিশমিশ।
১৪) হাড় মজবুত করে, কিডনি সুস্থ রাখে, হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক, হাইপারটেনশন প্রতিরোধ করে কিশমিশ।
১৫) অতিরিক্ত ওজন কমাতেও সাহায্য করে কিশমিশ।