আমাদের সকলের কাছে অতি পরিচিত একটি সবজি কাঁকরোল। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও মিনারেল, এছাড়া রয়েছে লুটেইন ও জেনান্থিন যা চোখের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। এছাড়াও এতে রয়েছে ফাইবার, কার্বোহাইড্রেট, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং এনজাইম। কাঁকরোলে টমেটোর চেয়ে ৭০ গুণ বেশি লাইকোপিন থাকে, গাজরের চেয়ে ২০ গুণ বেশি বিটা ক্যারোটিন থাকে, কমলার চেয়ে ৪০ গুণ বেশি ভিটামিন সি থাকে এবং ভুট্টার চেয়ে ৪০ গুণ বেশি জিয়াজেন্থিন থাকে। চলুন জেনে নিই কেন খাবেন কাঁকরোল
কাঁকরোলে সেলেনিয়াম, মিনারেল এবং ভিটামিন থাকে যা নার্ভাস সিস্টেমের উপর গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব রাখে। তাই বিষণ্ণতার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে সাহায্য করে কাঁকরোল।
কাঁকরোলে চোখের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। ভিটামিন, বিটাক্যারোটিন ও অন্যান্য উপাদান থাকায় দৃষ্টিশক্তির উন্নতিতে সাহায্য করার পাশাপাশি চোখের ছানি প্রতিরোধেও সাহায্য করে।
কাঁকরোলে আছে লো-ডেনসিটি লাইপোপ্রোটিন। ফলে কলোস্টেরল লেভেল থাকে নিয়ন্ত্রণে। হৃদরোগের ঝুঁকি কমে। রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতাও বৃদ্ধি করে কাঁকরোলে বিদ্যমান উপাদান।
কমলার চেয়ে শতকরা ৪০ ভাগ বেশি ভিটামিন সি রয়েছে কাঁকরোলে। ভিটামিন সি শরীরের অতিরিক্ত মেদ পুড়িয়ে ফেলতে সাহায্য করে।আর রক্তে ভিটামিন সি’র পরিমাণ কম থাকলে ফ্যাট বার্নিং কম হয়।ফলে ওজন কমে না।যাদের রক্তে প্রয়োজনীয় পরিমাণে ভিটামিন সি আছে,তাদের ফ্যাট বার্নিং হয় শতকরা ২৫ ভাগ।ফলে তাদের মোটা হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়।
কাঁকরোলে লাইকোপিন নামক এন্টিঅক্সিডেন্ট আছে টমেটো থেকে শতকরা ৭০ ভাগ বেশি। লাইকোপিন প্রস্টেট ক্যান্সার রোধ করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। গবেষণায় পাওয়া গেছে যাদের শরীরে লাইকোপিনেরে মাত্রা বেশি, তাদের চেয়ে যাদের শরীরে এর মাত্রা কম তাদের শতকরা ৫০ ভাগ বেশি হার্ট এ্যাটাকের সম্ভাবনা রয়েছে। তাহলে কাঁকরোল আপনার হার্টেরও উপকার করবে নিশ্চয়ই।
কাঁকরোলে আছে ভুট্টার চেয়ে শতকরা ৪০ ভাগ বেশি জিযানথেন এবং গাজরের চেয়ে শতকরা ২০ ভাগ বেশি বিটা ক্যারোটিন, আছে ভিটামিন ই। এগুলো আপনার ত্বককে দূষণ থেকে রক্ষা করে। আপনার ত্বকে বয়সের ছাপ ফেলতে দেয় না। কাঁকরোলের জুস ত্বকের জন্য উপকারি।