কম্পিউটারে মাউসের ব্যবহার কমিয়ে কিবোর্ডের ব্যবহার বাড়ানো উচিৎ৷ কারণ, মাউসে সমস্যা হলে আপনার কম্পিউটার অকেজো হয়ে পরে৷ এছারও আমরা যখন চিঠি/দলিল/প্রশ্ন/ ইত্যাদি টাইপ করি তখন লেখাকে বিভিন্ন আকারে মডিফাই করতে হয়, যখন কাজের ঝামেলা হয় তখন বুঝা যায় এই কি-বোর্ড শর্টকাট কতটা প্রয়োজন।
কম্পিউটারে দ্রুত কাজ করতে গেলে শুধু মাউসের উপর ভরসা করলে হবে না। কি-বোর্ড শর্টকাট যার যত জানা, তিনি কম্পিউটারের সামনে ততো স্মার্ট। মাউসের থেকে কিবোর্ড ব্যবহার করে কাজ করলে আপনার কাজের সময় অনেক কমবে৷ তাই দ্রুত ভালো কাজের জন্য দেয়া হলো ১০টি কি-বোর্ড শর্টকাট টিপস৷
১) উইন্ডোজ কি + ডি : ডেস্কটপ খুঁজে পাচ্ছেন না? উইন্ডোজ কি + ডি চাপুন অন্য সব উইন্ডোজ চলে যাবে আর তদস্থলে ডেস্কটপ এসে হাজির হবে। এমনকি একই বাটন ব্যবহার করে আগের অবস্থায় ফিরে যেতে পারবেন।
২) উইন্ডোজ কি + ই : উইন্ডোজ এক্সপেল্গারার বের করতে উইন্ডোজ কি + ই চাপুন। সহজেই আপনার আকাঙ্ক্ষিত ফাইল খুঁজে পেতে এক্সপেল্গারার এর জন্য সুবিধামতো সাজিয়ে নিতে পারবেন।
৩) উইন্ডোজ কি + এল : এটি ব্যবহার করে আপনি আপনার উইন্ডোজের স্ক্রিন লক করতে পারবেন।
৪) উইন্ডোজ কি + আর : রান এর ডায়ালগ বক্স বের করতে উইন্ডোজ কি + আর চাপুন।
৫) আলটার কি + ট্যাব : চলমান সব প্রোগ্রামের থাম্বনেল একসঙ্গে দেখতে চাইলে আলটার কী + ট্যাব চাপুন। প্রত্যেক ডেস্কটপের ছোট থাম্বনেল উপরে ভেসে উঠবে। তবে এ ক্ষেত্রে আলটার বাটনের ওপর চেপে রাখতে হবে। ট্যাব কি ব্যবহার করে যে কোনো প্রোগ্রামের ডেস্কটপে আপনি যেতে পারবেন।
৬) কন্ট্রোল কি + পি : প্রিন্ট ডায়ালগ বক্স খুলতে চাইলে কন্ট্রোল + পি চাপুন।
৭) উইন্ডোজ কি + F3 : কোনও একটি অ্যাপ্লিকেশনের (সেই মুহূর্তে যে অ্যাপ্লিকেশনটি ব্যবহার করছেন) সার্চ ফিচার খুলে যায় উইন্ডোজ কি + F3 কি টিপলে।
৮) উইন্ডোজ কি + আই : উইন্ডোজের সেটিং ডায়ালগ চালু করতে উইন্ডোজ কি + আই চাপুন। যেখান থেকে সহজেই নেটওয়ার্ক, ব্যাকআপ, ওয়াইফাই, প্রাইভেসি, সিকিউরিটিসহ আরও অনেক কিছু কনফিগার করা যাবে।
৯) কন্ট্রোল + শিফট + ইএসসি : উইন্ডোজ টাস্ক ম্যানেজার আনতে কন্ট্রোল + শিফট + ইএসসি।
১০) উইন্ডোজ কি + সি : উইন্ডোজের কর্টানাকি লিসেনিং মুডে আনতে উইন্ডোজ কি + সি চাপুন। তবে এ ক্ষেত্রে কর্টানা আগে থেকেই সক্রিয় থাকতে হবে।