ব্যক্তিভেদে ভিন্নতা রূপ পায় সৌন্দর্যের আপেক্ষিকতা। আর এক্ষেত্রে এক জোড়ালো ভূমিকা রাখে সময়। আমাদের এই ছয় ঋতুর দেশে সময়ভেদে আগাম প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে হয় সব সময়। আসুন জেনে নিই কিভাবে শীতে কীভাবে দূরে থাকা যায় ব্রণ সমস্যা থেকে :
প্রচুর পানি পান করুন:-
শীতকালে কম পানি পান করার অভ্যাস আছে অনেকেরই। গ্রীষ্মকালে রোদের প্রচণ্ড তাপে অতিষ্ঠ হয়ে আমরা কিছুক্ষণ পরপরই পানি পান করলেও শীতে পানি পান করার কথা যেন আমরা ভুলেই যাই। এর ফলশ্রুতিতেই শীতে দেখা দেয় ব্রণের উপদ্রব। তাই শীতেও প্রচুর পানি পান করুন। ত্বক এবং শরীর ভালো রাখার জন্য দিনে অন্তত ৮ গ্লাস পানি অবশ্যই পান করা উচিত।
ময়েশ্চারাইজিং:
অনেকেই ব্রণ উঠেছে বলে ভয় পান ত্বক ময়েশ্চারাইজ করতে। ফলে ত্বক আরো শুষ্ক হয়ে ওঠে এবং ব্রণের সমস্যাও কমে না। ত্বককে ময়েশ্চারাইজড করার জন্য ব্যবহার করতে পারেন বেবি ক্রিম। ছোট শিশুদের ত্বকের জন্য তৈরি করা হয় বলে এতে ক্ষতিকর কোনো কেমিক্যাল থাকে না। ফলে আপনার ব্রণ সমস্যা অনেকটাই কমিয়ে দেবে এই বেবি ক্রিম।
বালিশের কভার পরিষ্কার রাখুন :-
ত্বকে ব্রণ হওয়ার অন্যতম একটি কারণ হলো বালিশের কভার নিয়মিত পরিষ্কার না রাখা। চুলের ধুলো-ময়লা বালিশের কভারে লেগে থাকে যা পরবর্তীতে আপনার ত্বকে লেগে ত্বকে ব্রণের সমস্যা দেখা দেয়। তাই সপ্তাহে অন্তত একবার বালিশের কভার পরিষ্কার করুন।
কী দিয়ে মুখ ধোবেন:-
এ সময় বডি ওয়াশ বা সাবান দিয়ে মুখ না ধোয়াই শ্রেয়। ত্বক পরিষ্কার করার জন্য ব্যবহার করুন ভালো ব্র্যান্ডের অয়েল ফ্রি ক্লিনজার। তবে গরম পানি দিয়ে ভুলেও মুখ ধোবেন না। মুখ ধোয়ার জন্য সবসময় ঠান্ডা পানি ব্যবহার করুন। এছাড়া সকাল এবং রাতে ফেসওয়াশ দিয়েও ত্বক পরিষ্কার করতে পারেন।
মুখে হাত লাগানো থেকে বিরত থাকুন :-
শীতে হাত কতটুকু ঠান্ডা হয়ে আছে তা অনুভব করার জন্য কিংবা সামান্য উষ্ণতা পেতে অনেকেই হাত গালে লাগিয়ে রাখে। এতে হাত থেকে জীবাণু ত্বকে লেগে যায় এবং তা থেকে দেখা দেয় ব্রণের উপদ্রব। আর তাই এই অভ্যাসটা ত্যাগ করার চেষ্টা করা উচিত।