রোজার এই এক মাস অনেক সময়ই নানা কাজে ত্বকের যত্ন নেওয়া হয়ে ওঠে না। তাছাড়া অপর্যাপ্ত পানি পান, অতিরিক্ত ভাজাপোড়া খাবার খাওয়া ইত্যাদি কারণে ত্বকে নানান সমস্যা দেখা দেয়। তাই ঈদের কিছুদিন আগে থেকেই ত্বকের বাড়তি যত্ন নেওয়া উচিত।
তৈলাক্ত ত্বকে গ্রন্থির আধিক্য থাকে আর তাই প্রচুর তেল বের হয়। এ ধরনের ত্বক পরিষ্কার করার কিছুক্ষণ পরই আবার ত্বক তৈলাক্ত হয়ে যেতে পারে। আবার কিছু ত্বকের অংশ বিশেষ তৈলাক্ত থাকে এবং বাকি অংশ শুষ্ক হয়। এ ধরনের ত্বককে মিশ্র ত্বক বলা হয়। তৈলাক্ত ত্বকের জন্য মুলতানি মাটি বেশ উপকারী।
গোলাপ জলের সঙ্গে মুলতানি মাটি ও এক চামচ মধু মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে ব্যবহার করুন। তৈলাক্ত ও মিশ্র ত্বকের জন্য এটি বেশ ভালো একটি মাস্ক। পরিষ্কার মুখে মাস্ক লাগিয়ে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করে ধুয়ে ফেলুন। মুখ ধোয়ার পর হালকা কোনো ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিতে হবে।
তৈলাক্ত ত্বকে ব্ল্যাক হেডস ও হোয়াইট হেডস বেশি হয়। তাই নিয়ম করে স্ক্রাবিংও করতে হয়। চিনি ও মধু মিশিয়ে স্ক্রাব তৈরি করে হালকা ভেজা ত্বকে হাত ঘুরিয়ে মালিশ করতে হবে। সপ্তাহে দুবার এই স্ক্রাব ব্যবহারে ব্ল্যাক হেডস ও হোয়াইট হেডসের প্রকোপ কমবে। তবে ব্রণের সমস্যা থাকলে স্ক্রাব করা উচিত নয়। অথবা ব্রণ এড়িয়ে তারপর স্ক্রাবিং করতে হবে।
শুষ্ক ত্বকের ক্ষেত্রেও ঘরোয়া বিভিন্ন উপাদান দিয়ে রূপচর্চা করা যায়। বাজারে নানা ধরনের প্রসাধনী পাওয়া যায়। যেগুলো না বুঝে ব্যবহার করার ফলে ত্বকের উপকারের বদলে অপকারই বেশি হতে পারে। এতে ত্বকে বলিরেখাও দ্রুত পড়তে পারে। অসময়ে ত্বকে বয়সের ছাপ পড়ে যাওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে শুষ্ক ত্বকের ক্ষেত্রে। তাছাড়া শুষ্ক ত্বকের উপর মৃত কোষের স্তরও পড়ে দ্রুত। তাই নিয়মিত যত্ন নিতে হয়।
দুধের সরের সঙ্গে এক চিমটি হলুদ ও কয়েক ফোঁটা গ্লিসারিন মিশিয়ে উপরের দিকে হাত ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে মালিশ করুন পাঁচ মিনিট। এরপর পানি ঝাপটা দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন। সম্ভব হলে এই মিশ্রণ প্রতিদিন ব্যবহার করা যেতে পারে। টানা সাত দিন ব্যবহারে ত্বকের শুষ্কভাব অনেকটাই কমে আসবে।
মধুর সঙ্গে মাল্টার রস মিশিয়ে মিশ্রণটি ত্বকে লাগিয়ে কিছুক্ষণ পর কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। শুষ্ক ত্বকের পাশাপাশি বলিরেখা দূর করতেও এই মিশ্রণ উপকারী। আর এসব পদ্ধতি ঈদের আগ থেকে পালন করলে উৎসবে পাওয়া যাবে সজীব ত্বক।