আত্মহত্যা করলেন ঢাকাই ছবির আইটেম কন্যা জ্যাকলিন মিথিলা। গত ২ ফেব্রুয়ারি মধ্যরাতে তার চট্টগ্রামের বাড়িতে আত্মহত্যা করেন নানা কারণে বিতর্কিত ও আলোচিত এই মডেল।
মিথিলার পরিবার খবরটি গোপন রাখলেও অবশেষে তা সামনে এল গণ্মাধ্যমের। ইতোমধ্যে এই ঘটনায় মিথিলার বাবা স্বপন শীল থানায় একটি সাধারন ডায়েরি করেছেন।
আত্মহত্যার পূর্বে বেশ কদিন বিষণ্ণতায় ভুগছিলেন মিথিলা । সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ও তার ফেসবুকের ওয়ালে বিষাদযুক্ত কিছু স্ট্যাটাসও দেন তিনি। তবে পারিবারিক সুত্রে জানা গেছে, ভয়াবহ রকমের অভিমানী ও জেদি ছিলেন মিথিলা। বেশ কিছুদিন ধরে নিজেকে অনেকটাই গুটিয়ে ফেলেছিলো সে। সেই একাকীত্ব আর বিষণ্ণতা থেকেই অবশেষে আত্মহত্যার মতো কঠিন পথ বেছে নিয়েছে সে।
এছাড়া আরো জানা যায়, কলেজে পড়ার সময়েই নিজের পছন্দে বিয়ে করেছিলো মিথিলা। তবে স্বামীর পরিবার তার উচ্চাকাংখা আর অতি আধুনিকতা সহ মিডিয়া জীবনে নিজেকে জড়ানোর সিদ্ধান্তে ‘অমত’ থাকায় শুরু হয় দাম্পত্য কলহ।
তার স্বামীর নাম উৎপল রায়। স্বামীর বাড়ি ফটিকছড়ি। তার সঙ্গে প্রায়ই ঝগড়া লাগতো মিথিলার। আর সেই কারণে সে আত্মহত্যা করেছে। ময়নাতদন্ত শেষে তাকে চিতায় পোড়ানো হয়েছে।
মিথিলার মৃত্যুর কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে- স্বামীর সঙ্গে তার ঝগড়া। মামলায় প্রকৃত নাম দেওয়া হয়েছে জয়া শিল, বয়স ২২ বছর।
মিথিলার বাবা স্বপন শীল মৃত্যুর কথা নিশ্চিত করে জানান, মিথিলা মারা গেছে। গলায় দড়ি দিয়ে সে আত্মহত্যা করেছে। এর আগে সে ঘুমের বড়ি খেয়েছিল। তবে কী কারণে সে আত্মহত্যা করেছে তা এই মুহূর্তে বলতে চাচ্ছি না।
মিডিয়ায় নিজেকে আলোচনায় নিয়ে আসার জন্য নানাভাবে চেষ্টা করলেও কিছুতেই মুখ দেখেননি সফলতার। এমনকি মূলধারার সংবাদপত্রে কখনোই শিরোনামও হতে পারেননি। তবে এবার আত্মহত্যার পরেই খবরের শিরোনাম হলেন বহুল আলোচিত ও সমালোচিত কথিত এই মডেল।
জ্যাকলিনের জন্ম ও শৈশব কাটিয়েছেন ফেনীতে। তার পিতা স্বপন শীল পেশায় একজন নরসুন্দর। কৈশোরের শুরুতে তিনি চট্টগ্রামে চলে আসেন এবং সেখানেই বড় হন। এরপর ঢাকায় এসে মিডিয়ার সঙ্গে যুক্ত হন। কয়েকটি ছবিতে আইটেম গানে নেচেছেন তিনি। সর্বশেষ নেচেছেন পিএ কাজল পরিচালিত ‘চোখের দেখা’ ছবির আইটেম গানে।
মৃত্যুর আগে ৩০ জানুয়ারি রাত ১১টা ৪৯ মিনিটে দেওয়া একটি স্ট্যাটাসে তিনি লিখেন, ‘কালকে আমি আত্মহত্যা করব। কেউ আমাকে প্রত্যাখান করে নাই। আমিও কাউকে প্রত্যাখান করি নাই। কিন্তু আমি আত্মহত্যা করব।‘ আবার ৩১ জানুয়ারি সকাল ৭টা ২৮ মিনিটে লিখেন, ‘ধীরে ধীরে মৃত্যুর পথে পা বাড়াচ্ছি।‘