নারীদের মতো এখন পুরুষরাও নিজেদের শরীর নিয়ে বেশ সচেতন। নারী মন আকর্ষণের জন্য কি না চায় পুরুষরা। আর সেদিকে খেয়াল রেখে ই দিন দিন প্রয়োজনীয়তা বাড়ছে শরীরচর্চার। শরীরচর্চাতো শুধু শরীরচর্চা নয় সে যেন এক কঠিন যোগাসন। সিক্স প্যাক থেকে টেন প্যাক বানানোর জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা তারা কাটিয়ে দেয় জিমাগারে। রীতিমতো শরীরের বিরুদ্ধে যেন বিদ্রোহ ঘোষণা করে তারা। প্রত্যেক ক্রিয়ার ই একটি সমান ও বিপরীত প্রতিক্রিয়া আছে। আর এই বিজ্ঞানের যুগে তা ভুল প্রতীয়মান হবে তা কি করে হয়?? আর সেই পথ ধরেই শরীরের উপর তা আনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া।
হ্যাঁ, ব্যায়াম আপনার অতিরিক্ত ওজন কমিয়ে আপনার পেশিকে যুতসই করে তুলবে কিন্ত এর ফলে কমে যাবে আপনার যৌন ক্ষমতা! এমনটাই বলছেন ইউনিভার্সিটি অফ নর্থ ক্যারোলিনের গবেষকরা৷ তাদের মতে, সারাদিনের বেশ কিছুটা সময় জিমে কাটানোর ফলে বিছানায় অনাসক্ত হয়ে পড়ছেন তারা। ফলে সঙ্গীর সাথে হচ্ছে মনোমালিন্য, ঘটছে বিচ্ছেদ। আর তা প্রভাব ফেলছে আমাদের নতুন প্রজন্মের উপর। ফলে শরীরচর্চার এক পরোক্ষ সুদূরপ্রসারী প্রভাব ঘটে চলেছে আমাদের দৈনন্দিন জীবনে।
তাহলে এখন আমাদের করণীয় কি? আমরা কি শরীরচর্চা ছেড়ে দিবো নাকি সৃষ্টিকর্তা আমাদের যে শরীর দিয়েছেন তা নিয়েই তাকে ধন্যবাদ দিয়ে দিয়ে শরীরে জং ধরাবো? আমাদের যা কিছু আছে সব কিছুই প্রাকৃতিক বা সৃষ্টিকর্তা প্রদত্ত। আমরা বড় জোর তার দেয়া সম্পদকে মডিফাই করতে পারি। হ্যাঁ, আমরা জিম অবশ্যই করবো তবে যতটুকু প্রয়োজন ঠিক ততটুকুই। প্রয়োজনের অতিরিক্ত কোনো কিছুই ভাল না।সম্পদের অতিরিক্ত মডিফাই যেমন সম্পদের বিকৃতি ঘটায় তেমনি এটা শরীরের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। পারমাণবিক বোমার মত শুধু বিস্ফোরিতই হবে, কোনো কাজে আসবে না। এক গবেষণায় দেখা গেছে, সপ্তাহে ৬ ঘণ্টার বেশি শরীরচর্চা করা উচিত না। ফলে শরীর-স্বাস্থ্যও বজায় থাকবে আর যৌনজীবনও অক্ষত থাকবে৷