অগোছালো চুল সামলানো সত্যিই খুব ঝামেলার ব্যাপার। তাছাড়া বাতাসে আর্দ্রতার মাত্রা বেশি থাকার কারণে বছরের অন্যান্য সময়ের তুলনায় বর্ষায় চুল বেশি বেয়াড়া হয়ে যায়। এই মৌসুমে এলোমেলো চুল সামলাতে জানা চাই কার্যকর পন্থা। আর তার জন্য দরকার বাড়তি যত্ন। আসুন জেনে নিই অগোছালো চুলের যত্নে করণীয় সম্পর্কে-
– চুলে পুষ্টি যোগাতে এবং রুক্ষভাব দূর করতে প্রতিবার শ্যাম্পুর আগে কুসুম গরম নারিকেল তেল ভালোভাবে চুলের গোড়ায় মালিশ করুন। আর ক্ষতি এড়াতে অতিরিক্ত রাসায়নিক উপাদান সমৃদ্ধ প্রসাধনী ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন। চুলের জট ছাড়াতে ও আঁচড়াতে মোটাফাঁকা দাঁতের চিরুনি ব্যবহার করতে হবে। সপ্তাহে অন্তত তিনবার শ্যাম্পু করার চেষ্টা করুন।
– চুলের গোড়া থেকে আগা পর্যন্ত কোমল কোনো শ্যাম্পুর সাহায্যে ভালোভাবে পরিষ্কার করুন। তারপর কন্ডিশনার ব্যবহার করুন। এই মৌসুমে চুল কোমল রাখতে সিরাম বা মিস্ট ব্যবহার করা যেতে পারে।
– বর্ষায় লম্বা চুল নিয়ে বিপাকে পড়তে হয় বেশি। চুলে জটবাঁধা, রুক্ষ হয়ে যাওয়া, আঠালোভাব ইত্যাদি সমস্যা এড়ানো সম্ভব নয়। তাই ভেজা আবহাওয়ায় চাইলে ভিন্ন ধরনের হেয়ারকাট দেওয়া যেতে পারে। আর চুল কাটতে না চাইলে বেঁধে রাখার অভ্যাস করুন। ভালোভাবে চুল শুকিয়ে ঝুঁটি বা বেণি করে রাখুন। লম্বা চুলের ক্ষেত্রে সাধারণ খোঁপাও হতে পারে উপযোগী।
– শুধু বাহ্যিক যত্নই যথেষ্ট নয়, চুল সুন্দর রাখতে সঠিক খাদ্যাভ্যাসও জরুরি। অতিরিক্ত তৈলাক্ত ও মসলাদার খাবার চুলের ক্ষতি করে তাই এগুলো এড়িয়ে চলাই ভালো।
– চুল দীর্ঘসময় খুলে রাখা ঠিক নয়। এতে চুল অগোছালো ও রুক্ষ হয়ে যেতে পারে। আগাফাটা থেকে মুক্তি পেতে নিয়মিত চুলের আগা ছেটে নিতে হবে।
– সুস্থ ও সুন্দর রাখতে নিয়মিত চুলে গরম স্টাইলিং টুলস, যেমন- স্ট্রেইটনার বা কার্লার ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন।
– চুলে বিভিন্ন রং পছন্দ হলেও অতিরিক্ত ডাই ব্যবহার করা ঠিক নয়। এতে চুল ভঙ্গুর হয়ে পড়ে।